Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের প্রস্তাব বা শর্তগুলি কী ছিল?

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের প্রস্তাব বা শর্তগুলি কী ছিল?

সাইমন-কমিশনের সুপারিশ এবং লন্ডনে অনুষ্ঠিত গােলটেবিল বৈঠকগুলির (১৯৩০-৩২ খ্রিঃ) আলাপ-আলােচনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসনসংস্কার সম্বন্ধে একটি ‘হােয়াইট পেপার বা সুপারিশপত্র প্রকাশ করে। এরপর ভারতের শাসন সংস্কারের উদ্দেশ্যে পালামেন্টের সদস্যদের নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি’ নামে একটি সমিতি গঠিত হয়। এই কমিটির রিপাের্টের ওপর ভিত্তি করে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২রা আগস্ট ভারত-শাসন আইন রচিত হয়।

ভারত-শাসন আইন

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত-শাসন আইনের দুটি প্রধান প্রস্তাব ছিল (১) ব্রিটিশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলি নিয়ে একটি সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাে গঠন; (২) প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন কাঠামাে গঠন।

সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাে সংক্রান্ত প্রস্তাব

১) ভারতবর্ষে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। এই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে গঠিত হবে। (২) যুক্তরাষ্ট্রে যােগদান করা বা না করা দেশীয় রাজ্যগুলির ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হলাে। (ত) কেন্দ্রে যে শাসনব্যবস্থার ব্যবস্থা হলাে তা দ্বৈতশাসন বলা যায়। এর অর্থ হলাে যে, কিছু কিছু বিষয় বড়লাটের নিজস্ব এক্তিয়ারে (সংরক্ষিত) থাকবে এবং তাতে আইনসভার কোনাে অধিকার থাকবে না। কিন্তু অন্যান্য হস্তান্তরিত বিষয়গুলির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার হাতে দেওয়া হবে। ফলে দেশরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি, ধর্ম প্রভৃতি বিষয়গুলি সরাসরিবড়লাটের উপদেষ্টার হাতে অর্পিত হয়। (৪) ভারত-সচিবের পদ বিলুপ্ত হবে। (৫) কেন্দ্রে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ব্যবস্থা থাকবে। নিম্নকক্ষে ব্রিটিশ ভারতের ২৫০ জন প্রতিনিধি থাকবে (৬) সাম্প্রদায়িক নির্বাচন নীতি গৃহীত হওয়ায় মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকল।

প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন কাঠামাে সংক্রান্ত প্রস্তাব 

(১) প্রদেশগুলিতে ১৯১৯-এর দ্বৈতশাসনের ব্যবস্থা রহিত করে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া হবে এবং প্রাদেশিক সরকার নির্বাচিত আইনসভার কাছে দায়ী থাকবে। (২) প্রদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক গভর্নরের হাতে। তাঁকে সাহায্য করবে একটি মন্ত্রীসভা। (৩) গভর্ণর জেনারেল ও প্রাদেশিক গভর্ণরকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হবে। যার দ্বারা তাঁরা আইনসভার মতামত উপেক্ষা করে নিজ সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করতে পারবেন। (৪) আইনসভাগুলির কার্যকলাপের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়। (৫) পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হবে।

Download PDF

Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.

Leave a reply