নারীদের বিরুদ্ধে হিংস্রতার বিভিন্ন কারণ
ভারতে নারী জাতি দেবী বা মাতৃ হিসেবে পূজিত। কিন্তু সমাজজীবনে নারীরা যুগ যুগ ধরে নির্যাতনের শিকার।
- এক সময় ভারতে সতীদাহ প্রথা, দেবদাসী, পণপ্রথা, বাল্য বিবাহ, বাল বিধবা ইত্যাদি প্রথাগুলি খুব ঘটা করে পালন করা হ’ত। এই সমস্ত গালভরা নামের প্রথার সবগুলিই ছিল নারী জাতির ওপর চরম নির্যাতন ও স্বাধীনতা হরণের উপায় স্বরূপ।
- ভারতের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের সর্বদাই পুরুষের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করা হয়েছে ও পুরুষ ইচ্ছেমত তাদের ব্যবহার করেছে। নারীদের ওপর শুধু মৌন কর্তৃত্বই নয়, তাদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক একাধিপত্য বিস্তার করে নারীদের সমাজে পঙ্গু ও খর্ব করে রাখা হয়েছিল।
- দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও অশিক্ষা নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী। নারীরা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত, ফলে পরিবারে তাদের কোন সম্মানজনক স্থান ছিল না। তার ওপর অশিক্ষা তাদের মানসিক শান্তিও হরণ করেছিল।
- বিবাহিত মেয়ের প্রতি পিতামাতার অবজ্ঞা ও দায়িত্বহীনতা নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ। শ্বশুর বাড়িতে লাঞ্ছনার খবর পেয়েও পিতামাতা নিষ্ক্রিয় থাকেন। ফলে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা অনেক সময় বধূ মৃত্যুর কারণ হয়।
- শারীরিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়েও অনেক বীরপুরুষ স্বামী বা স্বামীর পরিবার মহিলার ওপর অত্যাচার করে। তার ওপর চলে যৌন নিগ্রহ। নারী অপহরণ, নারী পাচার, ধর্ষণ তারপর পৈশাচিক হত্যাকান্ড- এসব এখন আর অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। সব ক্ষেত্রে এসব ঘটনার কথা প্রকাশও হয়না, প্রকাশ হলেও অপরাধীরা অনেক সময় অধরা থেকে যায়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .