জলীয় বাষ্প বিশুদ্ধ বায়ু অপেক্ষা হালকা। সেই জন্য জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু জলীয় বাষ্পহীন শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা হালকা এবং এর চাপও অপেক্ষাকৃত কম। এই জন্য বর্ষাকালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুর চাপ গ্রীষ্মকালের শুষ্ক বায়ুর তুলনায় কম।
Continue readingবায়ুর উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুচাপের তারতম্য ঘটে কেন?
তাপমাত্রার বৃদ্ধিতে বায়ু প্রসারিত হয় এবং আয়তনে বেড়ে যায়। আয়তনে বেড়ে গেলে বায়ুর চাপ কমে যায়। অর্থাৎ বায়ু উষ্ণ হলে বায়ুর চাপ কমে। নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় এই অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। একইভাবে বায়ুর উষ্ণতা কমে গেলে বায়ু সঙ্কুচিত ...
Continue readingব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ এবং ল্যাব্রাডর উপকূল একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপকূল ভাগে বরফ জমে না, অথচ ল্যাব্রাডর উপকূলে বরফ জমে, এর কারণ কী?
ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও ল্যাব্রাডর উপকূল একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের জন্য ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হওয়ায় নিকটস্থ সমুদ্রে বরফ জমে না, কিন্তু শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের জন্য ল্যাব্রাডর উপকূলের বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা কম থাকায় ঐ উপকূলে বরফ জমে।
Continue readingবৈপরীত্য উত্তাপ কাকে বলে?
বৈপরীত্য উত্তাপ কখনও কখনও উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হ্রাস না পেয়ে বরং বেড়ে যায়। একে বায়ুমণ্ডলের বৈপরীত্য উত্তাপ বলে। এই ব্যতিক্রম সাধারণত পার্বত্য উপত্যকার শান্ত আবহাওয়ায় দেখতে পাওয়া যায়।
Continue readingশিলিগুড়ি এবং দার্জিলিং খুব অল্প দূরে অবস্থিত হলেও শিলিগুড়ির চেয়ে দার্জিলিং-এর উত্তাপ কম হওয়ার কারণ কী?
স্বাভাবিক অবস্থায় উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ হ্রাস পায়। এরূপ উষ্ণতা হ্রাসের হার প্রতি ১ কিলোমিটারে ৬.৪° সেলসিয়াস। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের দূরত্ব বেশি নয়, কিন্তু যেহেতু দার্জিলিং শিলিগুড়ি থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত, সেইজন্য দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা সবসময়েই শিলিগুড়ি থেকে অনেক ...
Continue readingউচ্চতা কীভাবে বায়ুর তাপ নিয়ন্ত্রণ করে?
উচ্চতা কীভাবে বায়ুর তাপ নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চতা বায়ুমণ্ডলের তাপের একটি প্রধান নিয়ন্ত্রক। উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। সাধারণত বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৬.৪° সেলসিয়াস হারে উষ্ণতা কমে যায়। একে “উষ্ণতা হ্রাসের ...
Continue readingভূ-পৃষ্ঠ থেকে ক্রমশ ওপরের দিকে বায়ুর চাপ কমে কেন?
ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুস্তরের ঘনত্ব কমতে থাকে। সমুদ্র-পৃষ্ঠে বায়ুস্তরের ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ১,২০০ গ্রাম, অথচ ভূ-পৃষ্ঠের ৫ কিমি ঊর্ধ্বে বায়ুর ঘনত্ব সমুদ্রপৃষ্ঠের ঘনত্বের প্রায় অর্ধেক কমে যায়। ঘনত্ব কমলে স্বাভাবিকভাবে বায়ুর ওজন কমে যায়। এবং ওজন কমলে চাপও ...
Continue readingতাপমাত্রার স্বাভাবিক হ্রাস কাকে বলে?
তাপমাত্রার স্বাভাবিক হ্রাস সাধারণত প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৬.৪° সেলসিয়াস (অথবা প্রতি ৩০০ ফুটে ১° ফারেনহাইট) হারে উষ্ণতা কমে যায়, একে উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার বা “উষ্ণতা হ্রাসের গড়” বলে। তবে উষ্ণতা কমে যাওয়ার পরিমাণ সব ...
Continue readingদিনের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে তাপের তারতম্য হয় কেন?
সকালে এবং বিকালে সূর্য আকাশের নীচের দিকে থাকে বলে সূর্যরশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে তুলনামূলকভাবে বেশি তির্যকভাবে পড়ে এবং বেশি পরিমাণ বায়ুস্তর ভেদ করে আসে। এজন্য সকাল এবং বিকালে আমরা সূর্য থেকে কম তাপ পাই। দুপুরে সূর্যরশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে লম্বভাবে পড়ে এবং ...
Continue readingলম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় কেন?
তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় অনেক বেশি স্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয়। এছাড়া লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসে বলে আগত সৌরতাপের খুব স্বল্প ...
Continue reading