বিশ শতকের ছয়ের দশকের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়া-আচরণবাদ বা আচরণবাদোত্তর চিন্তাধারার উদ্ভব ঘটে। নয়া আচরণবাদের প্রধান প্রবক্তা ডেভিড ইস্টন একে আচরণবাদোত্তর বিপ্লবরূপে আখ্যায়িত করেন। আচরণবাদোত্তর আন্দোলন রাষ্ট্রচিন্তার জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। নয়া-আচরণবাদ কঠোর পদ্ধতিনির্ভর ও বিজ্ঞানসম্মত রাজনৈতিক ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সনাতন বা সাবেকি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলের মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় ১৯০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত যে আইন কাঠামোকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত ছিল, তা সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি নামে পরিচিত। বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন, দর্শন ও প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির আবির্ভাব ঘটে, যা আচরণবাদ নামে পরিচিত।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠে আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠে আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বৈশিষ্ট্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনার ক্ষেত্রে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলির মধ্যে আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অন্যতম। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গ্রাহাম ওয়ালসের Human Nature in Politics এবং আর্থার বেন্টলির The Process of Government গ্রন্থ দুটির মাধ্যমে আচরণবাদী আলোচনার সূত্রপাত ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতাগুলি উল্লেখ করো।
আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় আচরণবাদ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও এই মতবাদ কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। প্রথমতঃ আচরণবাদ রাজনৈতিক জীবনের আলোচনায় কঠোরভাবে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পদ্ধতি অনুযায়ী অভিজ্ঞতাবাদী তত্ত্ব নির্মাণে আগ্রহী। এখানে মানবজীবনের মূল্যবোধকে ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সনাতন দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।
আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সনাতন দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলের মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার ১৯০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত যে আইনগত কাঠামোকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত ছিল, তা সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি নামে পরিচিত। বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন, দর্শন ও প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে এক নতুন ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি ব্যাপক আলোচনা ক্ষেত্রঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞন হল একটি গতিশী পামাজিক বিজ্ঞান। এর আলোচনা ক্ষেত্রের সীমানা নির্ধারণ মোটেই সহজসাধ্য নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়বস্তু পরিবর্তনশীল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা ক্ষেত্রের সীমানা অতিমাত্রায় ব্যাপক। আলোচ্য শাস্ত্রের বিষয় বস্তুর ব্যপ্তির জন্য আলোচনা ক্ষেত্রের ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞাগুলিকে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক এই দুইভাগে ভাগ করা যায়। সাবেকী রাষ্ট্রবিজ্ঞানি গাণানের মতে, রাষ্ট্রকে নিয়েই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শুরু ও সমাপ্তি। ব্লুন্টসলি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্রের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন। আধুনিক ...
Continue readingরাজনীতি সম্পর্কে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিটি ব্যাখ্যা করো।
রাজনীতি সম্পর্কে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে বিংশ শতাব্দীতে। পন্ডিতদের মতে ১৯৬০ এর দশকের আগে পর্যন্ত নারীবাদ সম্পর্কিত আলোচনা তেমন গুরুত্ব পায় নি। সেদিকে থেকে দেখতে গেলে বলা যায়, রাজনীতি সম্পর্কে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভব হয় সাম্প্রতিককালে। ...
Continue readingরাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলোচনায় অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
ভূমিকা উনিশ শতকের শেষ দিক পর্যন্ত রাষ্ট্র ও রাজনীতি এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করার জন্য প্রধানত যে-দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করা হত, তা হল নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু বিশ শতকের প্রথমদিক থেকে, বিশেষত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে গ্রাহাম ওয়ালাস (Graham ...
Continue readingভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারণে ওয়ারেন হেস্টিংসের ভূমিকা আলোচনা করো।
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারণে ওয়ারেন হেস্টিংসের ভূমিকা ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার শাসনকর্তা হয়ে বাংলায় আসেন। ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারণে তিনি বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বাংলায় শাসনকর্তা হয়ে এসে প্রথমেই দ্বৈত শাসনব্যবস্থা তুলে দেন। মোগল সম্রাট ...
Continue reading