চিনা ঐতিহ্যে তথা চিনা সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাসে কনফুসীয়পন্থার প্রভাব অপরিসীম। কনফুসীয়পন্থার প্রবক্তা ছিলেন কনফুসিয়াস। ফেয়ারব্যাঙ্ক লিখেছেন— কনফুসিয়াস ছিলেন চিনের প্রথম পেশাদার শিক্ষক ও দার্শনিক এবং আজও তিনি পূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও দার্শনিক হিসাবে স্বীকৃত। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বিশ ...
Continue readingজেন্ট্রি কারা ? জেন্ট্রি সম্প্রদায় কিভবে নিজেদের বিশেষ সুবিধা বজায় রেখেছিল?
চিনা সমাজের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চিনের শহরাঞ্চলে বুর্জোয়াশ্রেণীর অনুপস্থিতি বুর্জোয়া শ্রেণীর পরিবর্তে এখানে জেন্ট্রি নামক একটি শ্রেণীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ষোড়শ সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডে যে ‘জেন্ট্রি’ শ্রেণীর আবির্ভাব, তা ভূস্বামী শ্রেণীভুক্ত হলেও তার মধ্যে পুঁজিবাদী প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষ্য ...
Continue readingবৈদিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
বৈদিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য লিখিত উপাদানযুক্ত সভ্যতা বৈদিক সভ্যতার সব থেকে নির্ভরযোগ্য উপাদান হল বৈদিক সাহিত্য সমূহ। ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে এগুলি বৈদিক সভ্যতাকে প্রকাশ করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। গ্রামীন সভ্যতা বৈদিক সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে গ্রামীণ সভ্যতা, এখানকার ...
Continue readingবৈদিক যুগের সমাজ ব্যবস্থা সম্বন্ধে লেখ।
বৈদিক যুগের সমাজ ব্যবস্থা বৈদিক সমাজের ভিত্তি ছিল পরিবার ও পিতৃ প্রধান। পরিবারের প্রধান ছিলেন পিতা। তিনি পিতৃ প্রধান পরিবার গৃহপতি নামে পরিচিত হতেন। পরিবার ভুক্ত সদস্যদের উপর তাঁর ক্ষমতা ছিল সীমাহীন। সমাজে নারীর স্থান তাঁহারা ...
Continue readingবৈদিক যুগের জাতিবর্ণ প্রথা ব্যাখ্যা কর।
বৈদিক যুগের জাতিবর্ণ প্রথা ভারত উপমহাদেশে আগমনকালে আর্যরা তিনটি সামাজিক শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল, যথা-যোদ্ধা বা অভিজাত শ্রেণী, পুরোহিত শ্রেণী ও সাধারণ মানুষ। প্রথমদিকে আর্যদের মধ্যে জাতিভেদ বা বর্ণভেদ বলে কিছু ছিল না। কোন বৃত্তি বংশানুক্রমিক ছিল ...
Continue readingবৈদিক আর্যদের ধর্মবিশ্বাসের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ?
বৈদিক আর্যদের ধর্মবিশ্বাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি থেকে ঈশ্বরের জন্ম হয় নাই—ঈশ্বর অনাদি। এই ধারণা থেকেই আর্যদের ধর্ম বিশ্বাস গড়ে উঠেছিল। এই বিশ্বাসগুলি হল-(১) আর্যরা বহু দেবদেবী উপাসনা করত।(২) এদের ধর্মবিশ্বাস ছিল সর্ব প্রাণবাদ।(৩) ঋকবেদের পুরুষ দেবতার তুলনায় ...
Continue readingহরপ্পা সংস্কৃতির ব্যবসা বাণিজ্যের সম্বন্ধে একটি টীকা লেখ।
ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছিল হরপ্পা সভ্যতায়। বাণিজ্যিক সমৃদ্ধিই এই নগর সংস্কৃতিকে বেগবাণ করেছিল। বাণিজ্য চলত সিন্ধু উপত্যকার এক প্রান্ডের সঙ্গে অন্য প্রান্তের। হরপ্পার বিস্তৃণ গ্রামাঞ্চল থেকে নগরে কাঁচামাল আসত আর সেই কাচামাল দিয়ে নগরের কারখানায় বিভিন্ন দ্রব্য তৈরী হয়ে ...
Continue readingসমকালীন সভ্যতাগুলির সঙ্গে হরপ্পার সম্পর্ক কী ছিল?
হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কারের পর এর প্রাচীনত্ব ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কৌতূহলের পাশাপাশি এর সঙ্গে সমকালীন অন্যান্য সভ্যতার সম্পর্কে বিষয়টিও যথেষ্ট আগ্রহের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে।মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে মেসোপটেমীয় সভ্যতার ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ...
Continue readingবৈদিক সভ্যতা ও হরপ্পা সভ্যতার মধ্যে তুলনা কর।
বৈদিক সভ্যতা ও হরপ্পা সভ্যতার মধ্যে তুলনা হরপ্পা ও বৈদিক সভ্যতার মধ্যে নানা বিষয়েই পার্থক্য দেখা যায়।(১) হরপ্পা সভ্যতা ছিল নগরভিত্তিক সভ্যতা কিন্তু বৈদিক সভ্যতা ছিল গ্রামীণ সভ্যতা। প্রথমদিকে আর্যদের নগর সম্বন্ধে কোনও ধারণাই ছিল না। তাই ...
Continue readingনবপলীয় সভ্যতা সম্পর্কে কি জানো?
নবপলীয় সভ্যতা নবোপলীয় যুগে মানুষের ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। এই যুগেই মানুষ প্রথম ভূমিকৰ্ষণ, পশুপালন, বয়ন ও স্থায়ী বসবাসের দ্বারা প্রথমে গ্রাম ও পরে নগরের সৃষ্টি করে। এছাড়াও নবোপলীয় যুগের মানুষরা নানা বৃত্তি ...
Continue reading