Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

ভারত ছাড়াে আন্দোলনের গুরুত্ব বিচার করাে।

ভারত ছাড়াে আন্দোলনের গুরুত্ব বিচার করাে।

ভারত ছাড়াে আন্দোলনের গুরুত্ব

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ভারত ছাড়াে আন্দোলন এক গৌরবজনক অধ্যায়। এই আন্দোলন ব্যর্থ হলেও এর গুরুত্ব সমধিক।

প্রথমত

এই আন্দোলন দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, স্বাধীনতার জন্য জনসাধারণ প্রস্তুত এবং তা অর্জনের জন্য জনসাধারণ সর্বপ্রকার অত্যাচার, চরম লানা এমনকি মৃত্যু বরণেও প্রস্তুত।

দ্বিতীয়ত

এই আন্দোলন হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পুণরায় ঐক্য গঠনের পথ তৈরী করেছিল। ডঃ ডি.এন.পানিগ্রাহী লিখছেন যে, মুসলিম লীগের বিরােধিতা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ, বিহার, চট্টগ্রাম, শিলচর প্রভৃতি স্থানের বহু মুসলিম এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে এবং নানাভাবে আন্দোলনকারীদের সাহায্য করে

তৃতীয়ত

প্রকৃত অর্থে এই আন্দোলন ছিল গণবিপ্লব। জওহরলাল নেহেরু এই আন্দোলনকে ১৮৫৭ খ্রিঃ মহাবিদ্রোহের সঙ্গে তুলনা করে লেখেন যে,“নেতা নেই, সংগঠন নেই, উদ্যোগ আয়ােজন নেই, কোন মন্ত্রবল নেই, অথচ একটা অসহায় জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মপ্রচেষ্টার আর কোন পন্থা না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠল— এ দৃশ্য প্রকৃতই বিস্ময়ের ব্যাপার”। ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন—“১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের গণবিদ্রোহ প্রকৃত অর্থেই ছিল সৈনিকদের যুদ্ধ। সেনাপতি দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন, কিন্তু সৈনিকদের ভূমিকা ছিল গৌরবময়। কারণ তাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে শহীদ হয়েছিলেন।” ঐতিহাসিক ফ্রান্সিস হার্টকিনসও এই আন্দোলনকে স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

চতুর্থত

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের এই আন্দোলনে যে অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ দেখা গিয়েছিল। এর আগে তা আর কখনাে দেখা যায়নি। অরুণচন্দ্র ভূঁইয়া তাঁর The Quit India Movement’ গ্রন্থে বলেছেন যে, এই আন্দোলনের ফলে একটি অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ ও জাতীয় ঐক্যবােধ গড়ে ওঠে এবং এর ফলে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজরা ভারত ত্যাগে বাধ্য হয়। তাঁর মতে এই আন্দোলন ছিল “a movement of the youth । ডঃ অম্বাপ্রসাদ বলেন যে, ১৯৪২-এর বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা ১৯৪৭ খ্রিঃ ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি প্রস্তুত করে।

পঞ্চমত

পূর্বের আন্দোলনগুলির তুলনায় এই আন্দোলন অনেক বেশি পরিমাণে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল। বরুণ দে সঠিকভাবেই বলেছেন যে, এর মধ্য দিয়ে ভারতীয়দের অজেয় সংকল্প প্রকাশ পেয়েছে এবং শাসকরা উপলব্ধি করেছে। যে, সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের অবসান আসন্ন।

মূল্যায়ণ

ভারতছাড়াে আন্দোলন ভারতে সাম্রাজ্যবাদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়েছিল এর ফলে ভারতের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত হয়।

Download PDF

Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.

Leave a reply