(১) বায়ুমণ্ডল ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়।
(২) বায়ুমণ্ডল জল, বাতাস ইত্যাদি পুনর্ভব শক্তির (renewable energy) উৎস।
(৩) বায়ুমণ্ডল প্রাণীজগতকে অক্সিজেন ও উদ্ভিদ জগতকে কার্বন ডাইঅক্সাইড দেয়।
(৪) বায়ুমণ্ডল অবলােহিত রশ্মি (infra-red ray) এবং অতিবেগুনি রশ্মির (ultra-violet ray) ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবজগতকে রক্ষা করে।
(৫) প্রাণীজগতের শারীরবৃত্তীয় (physiological) প্রয়ােজন মেটাতে বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব অসীম।
(৬) বায়ুমণ্ডলের উপস্থিতি ছাড়া জলচক্র (hydrological cycle) অস্তিত্বহীন।
(৭) বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
(৮) অক্সিজেন গ্যাস শাসকার্যে সাহায্য করে ও প্রাণীদেহে শক্তি ও উত্তাপ জোগায়।
(৯) অক্সিজেন দহনকার্যে সহায়তা করে।
(১০) কার্বন ডাইঅক্সাইড তাপ শােষণ করে।
(১১) নাইট্রোজেন পােটিন জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করার কাজে লাগে।
(১২) জলীয় বাষ্প বৃষ্টিপাত, মেঘ, তুষারপাত, কুয়াশা ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
(১৩) ধূলিকণা বায়ুমণ্ডলের তাপ শােষণে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত ধূলিকণার জন্য ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি তাপ বৃদ্ধি পায়।
(১৪) ধূলিকণা ঘনীভবনে (condensation) সহায়তা করে।
(১৫) ওজোন অতিবেগুনি রশ্মি শােষণ করে।।
(১৬) বায়ুমণ্ডল উল্কার আঘাত থেকে ভূ-পৃষ্ঠকে রক্ষা করে।
(১৭) বাতাসের শক্তি উপযুক্ত পরিবেশে মানুষের শ্রম লাঘব করে। বায়ুশক্তির সাহায্যে। দানাশস্য পেষাই, জলসেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি নানা কাজ করা যায়। অর্থাৎ পুনর্ভব সম্পদ হিসাবে বাতশক্তি অপুনর্ভব চিরাচরিত শক্তির উত্তম বিকল্প।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .