ভারতের জনহিতকর কাজের জন্য লর্ড রিপন স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের ফৌজদারী আইন অনুযায়ী ভারতীয়দের বিচারের ক্ষমতা ইউরােপীয় ম্যাজিস্ট্রেটরা লাভ করলেও কোনো ভারতীয় দায়রা জজ ইউরােপীয়দের বিচার করতে পারতেন না। বিচারের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর করার জন্য লর্ড রিপণের পরামর্শে তার আইনসচিব কোর্টনি ইলবার্ট একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেন। এতে বলা হয় যে, ভারতীয় বিচারকরাও শ্বেতাঙ্গদের বিচার করতে পারবেন। এই খসড়া আইনই ইলবার্ট বিল’নামে পরিচিত।
ইলবার্ট বিলের প্রতিক্রিয়া
ইলবার্ট বিল প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভারতীয়রা স্বাগত জানালেও ইউরােপীয়রা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ব্যারিস্টার ব্রানসন বিলটি প্রত্যাহারের জন্য ডিফেন্স অ্যাসােসিয়েশন নামে এক সংস্থা গঠন করে আন্দোলন চালায়। ব্যারিস্টার কেলভিন, জে.কে. জেসুইট প্রমুখ তার সঙ্গে যােগ দেন। সমকালীন স্পেকটেটর’ ও টাইমস পত্রিকাও এই বিলের সমালােচনা করেন। ইউরােপীয়দের এই আন্দোলনের প্রত্যুত্তরে সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে ভারত সভা’ প্রতি আন্দোলন গড়ে তােলে। লালমােহন ঘােষ লণ্ডনে প্রতিবাদপত্র পাঠায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার ইউরােপীয়দের কাছে নতীস্বীকার করে বিলটি সংশােধিত আকারে প্রকাশ করেন। এই সংশােধনে বলা হয় যে জুরীদের মধ্যে অর্ধেক শ্বেতাঙ্গ হবে।
ইলবার্ট বিলের গুরুত্ব
ইলবার্ট বিলের মূল আদর্শ ব্যর্থ হলেও ভারতীয়দের ওপর এর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। ইলবার্ট বিল বিতর্ক ভারতীয়দের জ্ঞানচক্ষু খুলে দেয়। এরপর থেকে ভারতীয়রা। জাতীয় আন্দোলন শক্তিশালী করে তুলতে অণুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তাই ইলবার্ট বিল আন্দোলনকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উষাকাল বলা যেতে পারে। রমেশচন্দ্র মজুমদার মন্তব্য করেন “The Ilbert Bill greatly helped the cause of Indian Political advance
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .