ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাতে ব্রাহ্মসমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে রামমােহন রায় ১৮২৮ খ্রিঃ ব্রায়সভা প্রতিষ্ঠা করেন। রামমােহন মারা যাওয়ার পর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ...
Continue readingঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে স্ত্রী শিক্ষার বিস্তার কীভাবে ঘটেছিল তা আলােচনা করাে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে স্ত্রী শিক্ষার বিস্তার ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজী শিক্ষার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী শিক্ষার প্রবর্তন ও প্রসার ঘটেছিল। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার স্ত্রী শিক্ষার ব্যাপারে তেমন কোনাে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই শতাব্দীর ...
Continue readingঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলার সমাজ সংস্কার আন্দোলনের বিবরণ দাও।
বাংলার সমাজ সংস্কার আন্দোলন উনিশ শতকে ভারতে নবজাগরণের ফলে ভারতের ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারমূলক কর্মপ্রয়াস শুরু হয়। এক্ষেত্রে ভারতপথিক রামমােহন রায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসভা (১৮২৮ খ্রিঃ) ধর্মীয় ও সমাজিক সংস্কার আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক উল্লেখযােগ্য ভূমিকা ...
Continue readingভারতীয় সমাজের উপর পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের প্রভাব আলােচনা করাে।
ভারতীয় সমাজের উপর পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের প্রভাব ঊনবিংশ শতকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব ছিল ব্যাপক ও বহুমুখী। কারণ, শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি পশ্চিমি আদর্শ ভারতের সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি ও ...
Continue readingআধুনিকতার অগ্রদূত হিসাবে রাজা রামমােহন রায়ের কৃতিত্বের মূল্যায়ণ করাে।
রাজা রামমােহন রায়ের কৃতিত্ব রাজা রামমােহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) ছিলেন ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত। সাধারণভাবে তাকে আধুনিক ভারতের জনক বলা হয়। এই অভিধার তাৎপর্য হল যে রামমােহন ভারতে আধুনিকতার সূচনা করেন এবং তিনিই মধ্যযুগীয় সমাজ থেকে আধুনিক ভারতের বিচ্ছেদ ...
Continue readingবাংলায় নবজাগরণের প্রকৃতি কী ছিল?
বাংলায় নবজাগরণের প্রকৃতি উনিশ শতকে পাশ্চাত্য সভ্যতার সংস্পর্শে এসে মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজে এক যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী আলােড়নের সূচনা হয়। এর ফলে বাংলার সংস্কৃতি ও চিন্তার জগতে এক নবযুগের সূচনা হয়। এই ঘটনা বাংলার নবজাগরণ নামে পরিচিত কিন্তু ...
Continue readingপ্রার্থনা সমাজ ও আর্য সমাজের নেতৃত্বে সংস্কার আন্দোলনের বিবরণী দাও।
প্রার্থনাসমাজ কেশবচন্দ্র সেনের প্রভাবে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মুম্বাই শহরে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। আত্মারাম পাড়ুরঙ্গ ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। মহাদেব গােবিন্দ রানাডে ও পন্ডিত রামকৃয় গােপাল ভান্ডারকর এই সমাজে যােগ দিলে প্রার্থনা সমাজের আন্দোলন আরও জোরদার হয়।প্রার্থনা সমাজের সংস্কার ...
Continue readingপ্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক’ সম্বন্ধে আলােচনা করাে।
প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক ১৮১৩ খ্রিঃ সনদ আইনের ৪৩নং ধারায় ভারতে শিক্ষা প্রসারের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করতে কোম্পানীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই অর্থ প্রাচ্য না পাশ্চাত্য কোন্ শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হবে, তা নিয়ে আইনের ধারায় ...
Continue readingটীকা লেখঃ মেকলে মিনিটস্
মেকলে মিনিটস্ উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযােগ্য পাশ্চাত্যপন্থী ব্রিটিশ উচ্চপদস্থ কর্মচারী লর্ড মেকলের প্রতিবেদন বা মেকলে মিনিটস্'। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ...
Continue readingপাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে মিশনারীদের অবদান আলােচনা করাে।
পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে মিশনারীদের অবদান ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে খ্রিষ্টান মিশনারীরা এক অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যমে ভারতবাসীর কু-সংস্কার দূর করে খ্রিষ্টধর্মের প্রচার করা। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে ১৮৫৩ খ্রিঃ পর্যন্ত খ্রিষ্টান মিশনারীরা ...
Continue reading