অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝায় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের প্রারম্ভিক লগ্ন থেকে আর্থিক শোষণের যে নীতি গ্রহণ করা হয় তার ফলে ভারতীয় কুটিরশিল্প ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এই ঘটনাকে অবশিল্পায়ন বলা হয়। সব্যসাচী ভট্টাচার্যের মতে, জাতীয় আয়ে কৃষিজ ...
Continue readingভারতীয় অর্থনীতিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার প্রভাব আলোচনা করো।
ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি লাভের মধ্য দিয়ে ভারতে ব্রিটিশ শক্তি ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থায় প্রবেশ করে। এর পর দ্রুত ঔপনিবেশিক পরিকাঠামো সুদৃঢ় হতে থাকে ও তার প্রভাবে ভারতীয় অর্থনীতির মূল কাঠামোয় পরিবর্তন সূচিত ...
Continue readingঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতি কী ছিল? ভারতে ব্রিটিশ বাণিজ্যের বিস্তার আলোচনা করো।
ভারতে কোম্পানির ঔপনিবেশিক বাণিজ্য নীতির দুটি দিক ছিল : (১) সস্তায় ভারতীয় বাজার থেকে পণ্যসামগ্রী কিনে ইউরোপের বাজারে অধিক দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভ করা। (২) ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের ফলে প্রস্তুত ভোগ্য পণ্যসামগ্রী ভারতের মতো বিশাল বাজারে বেশি দামে ...
Continue readingচিরস্থায়ী বন্দোবস্তু কী? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের গুরুত্ব আলোচনা করো।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তু কী ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে থেকে ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিশের শাসনকালে জমিদার শ্রেণির আজীবন স্বত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ও জমিদার শ্রেণির মধ্যে ভূমিরাজস্ব চুক্তি করা হয়। এই বন্দোবস্ত ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' নামে ...
Continue readingচিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল ও কুফলগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল ও কুফল চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল নিয়ে ঐতিহাসিক মধ্যে মতপার্থক্য লক্ষ করা যায়। মার্শম্যান, স্মিথ, রমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখ যেমন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রশংসা করেছেন তেমনি হোমাস্ এডওয়ার্ড, পাওয়েল প্রমুখ এর সমালোচনা করেছেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল কোম্পানি ...
Continue readingভারতীয় কৃষিসমাজে ভাঙন কেন দেখা দিয়েছিল?
ঔপনিবেশিক শাসন সুদৃঢ় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতে কৃষিসমাজও কয়েকটি দিক দিয়ে ভাঙনের সম্মুখীন হয়। প্রথমত নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থায় কৃষক শ্রেণি জমির ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব হারায়। ফলে জমি তাদের কাছে শুধুমাত্র জীবিকা নির্বাহের উৎসে রূপান্তরিত হয়। দ্বিতীয়ত ফসলের পরিবর্তে নগদ অর্থে ...
Continue readingইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে দেশীয় বস্ত্রশিল্প ধ্বংসের চারটি কারণ উল্লেখ করো।
একসময় ভারতীয় বস্ত্রশিল্প ইউরোপ তথা বিশ্বের বাজার দখল করে থাকলেও অষ্টাদশ শতকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে দ্রুত অবক্ষয়ের সম্মুখীন হয়। এর পিছনে নানা কারণ দেখা যায়। প্রথমত বক্সারের যুদ্ধের পর ব্রিটিশ বাণিজ্যনীতি পরিবর্তিত হয়। কোম্পানি ভারতীয় অর্থে ভারতীয় পণ্যসামগ্রী কিনে ...
Continue readingপত্তনি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
পত্তনি ব্যবস্থা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সনাতন জমিদার শ্রেণির অধিকাংশের বিলুপ্তি ঘটে। তার স্থলে শহরকেন্দ্রিক, গ্রাম্যসমাজ থেকে বিচ্যুত, মনাফালোভী নতুন জমিদার শ্রেণি গড়ে ওঠে। অধিক রাজস্ব সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এই জমিদার শ্রেণি তাদের স্বত্বাধীন এলাকা ছোটো ছোটো মধ্যস্বত্বভোগীদের ...
Continue readingভারতে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ কীভাবে সূচিত হয়েছিল?
ভারতে কোম্পানির লক্ষ্য ছিল অধিক মুনাফা লাভ করা। উনিশ শতকের সূচনায় কৃষিবাণিজ্যিকীকরণের দ্বারা এক নতুন মুনাফার ক্ষেত্র সূচিত হয়। এর সূত্রপাত ঘটে নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণের দ্বারা। নতুন রাজস্ব ব্যবস্থায় উৎপন্ন ফসলের পরিবর্তে নগদ অর্থে ভূমিরাজস্ব গ্রহণ করা হত। ফলে ...
Continue readingদুষ্টুরি প্রথা বলতে কী বোঝ?
দুষ্টুরি প্রথা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার বস্ত্র খরিদ করার জন্য এজেন্ট, কর্মচারী দালাল নিযুক্ত করত। এই দালালরা ছিল অসাধু। গরিব তাঁতিদের মাল খরিদ করার সময় তারা অসাধু উপায় অবলম্বন করত। তাঁতিরা তাদের কমিশন না দিলে তারা মাল ...
Continue reading