Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

চরমপন্থী নেতা হিসাবে তিলকের মূল্যায়ণ করাে।

উনবিংশ শতকের শেষ দিকে জাতীয় কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদন নীতির অসারতার পরিপ্রেক্ষিতে বিংশ শতকের গােড়ায় ভারতে সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা হয়। এই আন্দোলনে যেসকল চরমপন্থী নেতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলেন বালগঙ্গাধর তিলক। তিনিই প্রথম নরমপন্থী কংগ্রেসের বিকল্প রূপে প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যগত সভ্যতা সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে চরমপন্থী আদর্শ প্রচার করেন।

রাজনৈতিক মতাদর্শ

তিলকের রাজনৈতিক মতাদর্শের মূল ভিত্তি ছিল জনশক্তি। তিনি মনে করতেন রাজনীতি শুধুমাত্র কিছু উচ্চশিক্ষিত মানুষের বৈঠকখানার আড্ডা নয়। তিনি রাজনীতিকে’জনগণের নীতিরূপে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের একটিই মন্ত্র ছিল, তা হলাে পূর্ণ স্বরাজ। তিনিই প্রথম বলেন, “Swaraj is my birth right, and I will have it.”

জাতীয় চেতনা জাগরণের প্রচেষ্টা

জাতীয় চেতনা জাগরণে তাঁর অনলস প্রয়াস লক্ষ্যণীয়।

প্রথমতঃ জনগণের মনে জাতীয়তাবাদ প্রসারের উদ্দেশ্যে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রচলিত গণপতি পূজাকে ‘গণপতি উৎসবে’(১৮৯৩ খ্রিঃ) পরিণত করেন। সেইসঙ্গে দেশবাসীর মনে স্বদেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবের আদর্শ প্রচারের জন্য শিবাজী উৎসব (১৮৯৫ খ্রিঃ)-এর আয়ােজন করেন। ক্রমে ক্রমে এই দুটি উৎসব মহারাষ্ট্রের জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়।

দ্বিতীয়তঃ তিলক তার ক্ষুরধার লেখনীর সাহায্যে মারাঠা ও কেশরী নামক দুটি সাপ্তাহিক পত্রিকার মাধ্যমে শিক্ষিত মারাঠী যুবকদের মধ্যে বিদ্রোহে বহ্নি ছড়িয়ে দেন।

তৃতীয়তঃ বঙ্গভঙ্গ বিরােধী আন্দোলনকালে মহারাষ্ট্রে তিলক স্বদেশী ও বয়কট আন্দোলনের প্রসার ঘটান। রাজদ্রোহিতার অভিযােগে দীর্ঘ ৬ বছরের কারাদন্ড (১৯০৮ খ্রিঃ) ভােগ করে মান্দালয় থেকে ফিরে এসে তিনি ১৯১৬ খ্রিঃ হােমরুল লীগ গঠন করেন। হােমরুল লীগের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণ আন্দোলনের প্রসারে সচেষ্ট হন। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন – ভারতবাসী স্বরাজ চাইছে, ব্রিটিশ দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি আটকে রাখতে পারবেনা। তিলকের একক প্রচেষ্টায় ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মহীরূহের আকার ধারণ করে।

পরিশেষে বলা যায় তিলক ছিলেন ভারতীয় বিপ্লববাদের জনক। তিনি ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে গতিশীল ও গণমুখী করে তুলেছিলেন। তিনি ছিলেন উগ্র চরমপন্থা মতাদর্শে বিশ্বাসী। তাই ভ্যালেন্টাইন চিরল তাকে “The father of Indian unrest” বলে অভিহিত করেছেন।

Download PDF

Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.

Leave a reply