শিলামণ্ডল পৃথিবীর শিলাগঠিত কঠিন বহিরাবরণকে শিলামণ্ডল বা লিথােস্ফিয়ার (Lithosphere) বলে। শিলামণ্ডলের অন্য নাম অশ্মমণ্ডল। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ কিমি গভীর পর্যন্ত শিলামণ্ডলের ব্যাপ্তি।শিলামণ্ডলের নীচে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আরও দুটি বৃত্তাকার স্তর রয়েছে। ৩৫ থেকে ২,৯০০ কিমি গভীর ...
Continue reading
প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হিসাবে শিলার ভূমিকা কী?
বৈশিষ্ট্য ও উৎপত্তি (origin) অনুসারে শিলা তিনপ্রকার, যেমন— আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত বা পরিবর্তিত শিলা। শিলা নির্মাণ ও নানা অর্থনৈতিক কাজে লাগে। পাহাড়, পর্বত, মালভূমি, সমুদ্রের তলদেশ, মহাদেশ সবই শিলা দিয়ে তৈরি। আগ্নেয় শিলার ভূমিকা উত্তপ্ত আগ্নেয় ...
Continue readingকেন্দ্রমণ্ডল কী? কেন্দ্রমণ্ডলের বিশেষত্ব কী?
কেন্দ্রমণ্ডল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে গুটেনবার্গ বিযুক্তি পর্যন্ত অঞ্চলটি কেন্দ্রমণ্ডল (Core) বা সেন্ট্রোস্ফিয়ার (Centrosphere) নামে প্রসিদ্ধ। রাসায়নিক পরিভাষায় কেন্দ্রমণ্ডলকে নাইফ (NIFE) বলা হয়। কারণ এখানে নিকেল (Ni) ও লােহা (Fe) [Ni + Fe = NIFE]-র প্রাধান্য রয়েছে। এ ...
Continue reading
গুরুমণ্ডল কী? গুরুমণ্ডলের বিশেষত্ব কী?
গুরুমণ্ডল শিলামণ্ডলের নীচে অর্থাৎ ৩৫ কিমি গভীরতা থেকে প্রায় ২,৯০০ কিমি গভীর পর্যন্ত গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টল বা ব্যারিস্ফিয়ারের (Mantle/Barysphere) ব্যাপ্তি। লােহা, কার্বন, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পদার্থগুলি এখানে ভূ-অভ্যন্তরের প্রচণ্ড চাপ ও তাপের ফলে তরল অবস্থায় রয়েছে।গুরুমণ্ডলের ওপরের ...
Continue readingবায়ুমণ্ডল পরিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
(১) বায়ুমণ্ডল ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়।(২) বায়ুমণ্ডল জল, বাতাস ইত্যাদি পুনর্ভব শক্তির (renewable energy) উৎস।(৩) বায়ুমণ্ডল প্রাণীজগতকে অক্সিজেন ও উদ্ভিদ জগতকে কার্বন ডাইঅক্সাইড দেয়।(৪) বায়ুমণ্ডল অবলােহিত রশ্মি (infra-red ray) এবং অতিবেগুনি রশ্মির (ultra-violet ray) ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবজগতকে রক্ষা ...
Continue readingসমমণ্ডল বা হােমােস্ফিয়ার কী? সমমণ্ডলের স্তরবিন্যাস কেমন?
সমমণ্ডল বা হােমােস্ফিয়ার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরটিকে সমমণ্ডল বা হােমােস্ফিয়ার (Homosphere) বলে। এই স্তরের মধ্যে গ্যাসীয় উপাদানগুলির অনুপাত প্রায় সমান। বায়ুমণ্ডলের এই সর্বনিম্ন বলয়টি জল, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস।
Continue reading
ক্ষুব্ধমণ্ডল বা ট্রোপােস্ফিয়ার কী ? এর গুরুত্ব কী ?
ক্ষুব্ধমণ্ডল বা ট্রোপােস্ফিয়ার ট্রোপােস্ফিয়ার নামের এই বলয়টি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে গড়ে ১৪ কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থিত। এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। আকৃতিগতভাবে ক্ষুব্ধমণ্ডল উপবৃত্তাকার। মেরু অঞ্চলে এই উপস্তরটি ৮ কিমি এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৬ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্ষুব্ধমণ্ডল ...
Continue reading
স্তব্ধস্তর বা ট্রোপােপজ কী? এর বৈশিষ্ট্য কী?
স্তব্ধস্তর বা ট্রোপােপজ স্তব্ধস্তর বা ট্রোলােপজ (Tropopause) হল ক্ষুব্ধমণ্ডল ও শান্তমণ্ডলের সীমানা। ক্ষুব্ধমণ্ডলের উচ্চতম সীমা এবং শান্তমণ্ডলের নিম্নতম সীমার মধ্যে স্তব্ধস্তর বা ট্রোলােপজের অবস্থান। গ্রিক শব্দ থেকে নেওয়া ট্রোপােপজ কথাটির অর্থ, যেখানে বাতাসের আলােড়ন স্তব্ধ।
Continue reading
শান্তমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার কী? এর বৈশিষ্ট্য কী?
শান্তমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তব্ধস্তর বা ট্রোলােপজের উচ্চতম সীমান্ত থেকে শুরু হয়েছে শান্তমণ্ডল বা স্ট্রাটোস্ফিয়ার (Stratosphere)। এই স্তরটি মােটামুটিভাবে ১৭ কিমি থেকে ৫০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নতম অংশে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতার কোনাে তারতম্য ঘটে ...
Continue reading
তাপমাত্রার বৈপরীত্য বলতে কী বােঝায়?
তাপমাত্রার বৈপরীত্য উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও উষ্ণতা যখন কমে না, তখন এই বিপরীত অবস্থাকে তাপমাত্রার বৈপরীত্য বা বৈপরীত্য উষ্ণতা (Inversion of temperature) বলে। রাত্রিবেলা পাহাড়ের গা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে পাহাড়ি ঢল ঠান্ডা হয়ে যায়। তখন পাহাড়ের ওপরের ...
Continue reading