Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির তিনটি পার্থক্য নির্দেশ করো।

রাষ্ট্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বা আদর্শ কী হওয়া উচিত সে সম্পর্কে অনুসন্ধান করাই হল নীতিমূলক বা রীতিসিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান উদ্দেশ্য। মূল্যবোধভিত্তিক রাজনৈতিক মতাদর্শকে কেন্দ্র করে নীতিমুলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টট্‌লের রচনায় নীতিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির সন্ধান মেলে। প্রাচীনকালে রাষ্ট্রনীতির চিন্তা ছিল মূল্যবোধভিত্তিক। নীতিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কান্ট, ফিকটে, হেগেল, গ্রিন,ব্রাডলে, বোসাংকেট. সেন্ট টমাস, অ্যাকুইনাস প্রমুখ। নীতিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তারা মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা কখনও মুল্যবোধহীন বা Value-Free হতে পারে না। নীতিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির মূল বক্তব্য হল, প্রাচীনকাল থেকে মানুষ একটি আদর্শ সমাজ ও আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থা অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে। কোনো রাষ্ট্রনৈতিক আলোচনা আদর্শহীন বা মূল্যমানরহিত হতে পারে না। সমাজে ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিতের প্রশ্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রতাত্ত্বিক নির্বিশেষে সমস্ত চিন্তাবিদকে প্রভাবিত করে। আদর্শহীন ও মূল্যমানরহিত রাজনৈতিক আলোচনা অন্তঃসারশূন্য আলোচনামাত্র। অপরদিকে রবার্ট ডালের মতে, আধুনিক সামাজিক বিজ্ঞানগুলির সহায়তায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর পর্যবেক্ষণশীল রাজনৈতিক আচরণকে ব্যাখ্যার প্রচেষ্টাই হল আচরণবাদ।

নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির তিনটি পার্থক্য হল—

১) নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান ভিত্তি হল মূল্যবোধ বা মূল্যমান (Value)। এই কারণে নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে মূল্যবোধভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল মূল্যমান-নিরপেক্ষতা (Value Free) নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অবরোহমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করে। আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আরোহমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করে।

২) নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক আলোচনাকে প্রাধান্য দেয়। অন্যদিকে, আচরণবাদে গতিশীল সমাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যক্তির রাজনৈতিক আচার-আচারণের বিশ্লেষণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

৩) নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বর্ণনাত্মক বিশ্লেষণ পদ্ধতি অনুসৃত হয়। এক্ষেত্রে কোনো ব্যাপক তত্ত্ব গঠনের বিষয়টি প্রাধান্য পায় না। আচরণবাদে বর্ণনার পরিবর্তে সংখ্যায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া দেওয়া হয়।

Leave a reply