অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত বিশাখাপত্তনম ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বন্দর। এটি একটি সমুদ্রবন্দর। বিশাখাপত্তনম বন্দরের পোতাশ্রয়টি স্বাভাবিক ও সুগভীর। এই বন্দরটি “ডলফিনস্ নোজ” নামক অন্তরীপ দ্বারা পরিবেষ্টিত বলে সামুদ্রিক ঝড়-ঝঞ্ঝা মুক্ত।
বিশাখাপত্তনম বন্দরের গুরুত্ব
(১) ভগ্ন উপকূল, (২) গভীর সমুদ্র, (৩) নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, (৪) রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা, (৫) আঞ্চলিক শ্রমিকের সুলভ সরবরাহ প্রভৃতি বন্দর সৃষ্টির সমস্ত প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বর্তমান থাকায় বন্দরটি সৃষ্টিতে সুবিধা হয়েছে। নিকটবর্তী অঞ্চলে ভারতের আধুনিকতম ইস্পাত কারখানা বিশাখাপত্তনম ইস্পাত কারখানা’ এবং ভারতের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণ কারখানা হিন্দুস্থান শিল্প ইয়ার্ডের অবস্থান এই বন্দরের বিকাশের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। (৬) পশ্চাদভূমি : কৃষি ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য এই বন্দরের পশ্চাদভূমির অন্তর্গত। (৭) আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য : এই বন্দর প্রধানত জাপানে লৌহ আকরিক রপ্তানির কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিশাখাপত্তনম থেকে তৈলবীজ, চাল, তামা , চিনি, পাট, কাঠ, বাদাম, ম্যাঙ্গানীজ ও লৌহ আকরিক প্রভৃতি জিনিস বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এবং বিদেশ থেকে উৎকৃষ্ট কার্পাস ও কার্পাস বস্ত্ৰ, যন্ত্রপাতি, খনিজ তৈল, বিলাসদ্রব্য প্রভৃতি আমদানি করা হয়।
বিশাখাপত্তনম বন্দরের মাধ্যমে প্রধানতঃ সৌদিআরব, কুয়েত, জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য
রপ্তানি বাণিজ্যে : এই বন্দরের স্থান ভারতে দ্বিতীয় ও আমদানী বাণিজ্যে এর স্থান ষষ্ঠ।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .