অবস্থান
কলকাতার প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দক্ষিণে হুগলি নদীর মোহনা থেকে ৩০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে মেদিনীপুর জেলায় হলদী নদী ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে কলকাতার উপ-বন্দর হিসাবে হলদিয়া বন্দরটি স্থাপন করা হয়েছিল। সম্প্রতি বন্দরটি ভারতের একটি প্রধান বন্দরের মর্যাদা লাভ করেছে।
হলদিয়া বন্দরের বৈশিষ্ট্য
জাহাজে মাল ওঠানো নামানোর যান্ত্রিক পরিবহন ব্যবস্থা এই বন্দরের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য অন্যান্য বন্দরের তুলনায় অনেক কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এই বন্দরে ৬টি বার্থ সমন্বিত একটি ডক রয়েছে। এই বার্থগুলোর মধ্যে দুটি কয়লার, একটি আকরিক লৌহের, একটি রাসায়নিক সারের, একটি পেট্রোলিয়ামের এবং বাকি বার্থটি সাধারণ জাহাজি পণ্যের। এছাড়া জাহাজ মেরামতের জন্য একটি ড্রাই ডকও এখানে রয়েছে।
আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্য
প্রধানত পেট্রোলিয়ামজাত খনিজ তৈল পরিবহনের জন্য এই বন্দর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কয়লা, লৌহ আকরিক, খাদ্যশস্য, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য পণ্য এই বন্দরের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়।
সম্ভাবনা
হলদিয়া বন্দরটি বর্তমানে প্রধানত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য পরিবহন করে থাকে। এখানে একটা তৈল শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে সুবৃহৎ ট্যাঙ্কারে (তৈল পরিবহনকারী জাহাজ) তৈল আমদানি করে এখানকার তৈল শোধনাগারে শোধিত করে, পাইপ লাইনযোগে সেই তৈল দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। কিন্তু অপরিশোধিত খনিজ তৈল পাইপ লাইন দিয়ে বারাউনি তৈল শোধনাগারেও পাঠানো হয়। খড়গপুর থেকে একটি বৈদ্যুতিক রেলপথ এই বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া এই বন্দরের মাধ্যমে কয়লা, লৌহ আকরিক, খাদ্যশস্য, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবহন করা হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .