ভরা কটাল ও মরা কটালের মধ্যে পার্থক্য
বৈশিষ্ট | ভরা জোয়ার বা ভরা কটাল | মরা জোয়ার বা মরা কটাল |
---|---|---|
১। তিথি | ১। অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে ভরা জোয়ার বা ভরা কটালের ঘটনা ঘটে। | ১। কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মরা জোয়ার বা মরা কঠালের ঘটনা ঘটে। |
২। চন্দ্র ও সূর্যের অবস্থান | ২। অমাবস্যা তিথিতে, পৃথিবীর একই পাশে চন্দ্র ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। | ২। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে পরস্পর লম্বভাবে অবস্থান করে। |
৩। চন্দ্র ও সূর্যের অবস্থানের ফলাফল | ৩। অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্রের মিলিত আকর্ষণ বলের টানে জোয়ারের স্থানে খুব বেশি মাত্রায় জলস্ফীতি ঘটে এবং ভাটার স্থানে জলস্তর খুব বেশি মাত্রায় নেমে যায়। ফলে এই সময় জোয়ার ও ভাটার মধ্যে জলতলের পার্থক্য খুব বেশি মাত্রায় থাকে। | ৩। অষ্টমী তিথিতে (কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষ) চন্দ্রের প্রভাবে পৃথিবীর যেখানে জোয়ার হয়, তার প্রায় সমকোণী স্থানে সূর্যের প্রভাবেও জোয়ার হয়। এর ফলে চন্দ্রের আকর্ষনে যে দুই স্থানের জল ফুলে উঠতে চেষ্টা করে, সূর্যের আকর্ষণ সেই দুই স্থানে জলের উচ্চতা কমাতে চেষ্টা করে। এরফলে জোয়ার ও ভাটা এই দুটিরই তীব্রতা কম থাকে। |
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .