শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি কোনো পর্বতের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই বায়ু আরও ওপরে উঠে যেতে থাকে। পাহাড়ের উঁচু অংশ যদি বরফাবৃত থাকে তবে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ঐ বায়ু বরফের সংস্পর্শে এসে অথবা উঁচুতে ওঠার ফলে এমনিতেই শীতল হয়ে ওই পর্বতের বায়ুমুখী ঢাল বা প্রতিবাত ঢালে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।
জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ভূ-পৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি কোনো পর্বতের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই বায়ু আরও ওপরে উঠে যেতে থাকে। পাহাড়ের উঁচু অংশ যদি বরফাবৃত থাকে তবে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ওই বায়ু বরফের সংস্পর্শে এসে অথবা উঁচুতে ওঠার ফলে এমনিতেই শীতল হয়ে ওই পর্বতের বায়ুমুখী ঢাল বা প্রতিবাত ঢালে যে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।
● উদাহরণ
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ুর আরবসাগরীয় শাখা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম উপকূলের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং পাহাড়ের পশ্চিম ঢালে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় (৩৫০-৫০০ সেন্টিমিটার)। পশ্চিমঘাট অতিক্রম করে এই বায়ুপ্রবাহ দাক্ষিণাত্যের মালভূমি ও মধ্যপ্রদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু জলীয় বাষ্পের ঘাটতি পড়ে বলে এখানকার বৃষ্টিপাত কম (৬০-৬৫ সেন্টিমিটার)। তাই পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বাংশকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .