ত্রিপুরী অধিবেশনের গুরুত্ব
জাতীয় কংগ্রেসের তিন দিনের অধিবেশন শুরু হয় মধ্য প্রদেশের ত্রিপুরীতে। গান্ধিজি এবং কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী নেতাদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ত্রিপুরী অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি। গান্ধীজি এই অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন। গান্ধিজি সমর্থিত পথ প্রস্তাবে বলা হয় যে, গান্ধিজির আদর্শ ও নীতি মেনে ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হবে। কিন্তু এই প্রস্তাব কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র-বিরোধী ছিল।
সুভাষ চেয়েছিলেন ব্যাপকতম ঐক্যের ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে। কিন্তু এই প্রস্তাবে মতামত চাইলে বামপন্থীদের পরাজয় ঘটে। কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থীরা সুভাষের উদ্দেশ্যে বলেন, “হয় আত্মসমর্পণ করো, নতুবা পদত্যাগ করো।”
অবশেষে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৯ এপ্রিল তীব্র বিরোধিতার কারণে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস
সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। অধিবেশন শেষে সভাপতির বিদায়পর্ব ছিল এক অভাবনীয়
ব্যতিক্রম। এ প্রসঙ্গে পট্টভি সীতারামাইয়া তাঁর ‘কংগ্রেসের ইতিহাস’ গ্রন্থে লিখেছেন,
“বরাবরই সভাপতিকে বেশ ঘটা করে জাঁকজমক সহকারে বিদায় দেওয়া হয়, ত্রিপুরীতে
তার ব্যতিক্রম দেখা গেল।”
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .