ক্ষুদিরাম বসু স্মরণীয় কেন
অগ্নিযুগের একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ক্ষুদিরাম বসু দেশকে ব্রিটিশের শৃঙ্খল থেকে ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড সাহেব ছিলেন মুক্ত করার জন্য জন্য ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে গেছেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সির অত্যাচারী। কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয় দুই তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর ওপর। সেই সময় কিংসফোর্ড সাহেবকে বিহারের মজফরপুর জেলায় বদলি করা হয়। ফলে এই দুই তরুণ বিপ্লবী মজফ্ফরপুরের দিকে রওনা হলেন। চতুর কিংসফোর্ড সাহেব বিপ্লবীদের গতিবিধি বুঝতে পেরে ঘরের বাইরে খুব বেশি বের হতেন না। তিনি কেবলমাত্র সন্ধ্যে বেলায় ইউরোপীয়ান ক্লাবে যেতেন।
বিপ্লবীরা ঠিক করলেন ওই সময় কিংসফোর্ডকে হত্যা করা হবে। কিংসফোর্ড সাহেব যখন তার ফিটন গাড়িতে চেপে ইউরোপীয়ান ক্লাব থেকে ফিরছিলেন তখন তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিংসফোর্ড সাহেব সেই গাড়িতে ছিলেন না। ফলে মারা গেলেন দুই নিরপরাধ মহিলা মিস্ ও মিসেস্ কেনেডি। ক্ষুদিরাম ধরা পড়েন ও বিচারে তার ফাঁসি হয়। অন্যদিকে প্রফুল্লচাকী আত্মহত্যা করেন। এই দুই তরুণ বিপ্লবীর আত্মত্যাগ আজও বাংলার তরুণদের মনে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যায়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .