হোমোস্ফিয়ার
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানের রাসায়নিক গঠন, বিশেষত বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকায় বায়ুমণ্ডলের এই স্তরকে হোমোস্ফিয়ার বলা হয়। হোমোস্ফিয়ার প্রধানত –
(১) বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ [নাইট্রোজেন (৭৮.১%), অক্সিজেন (২০.৯%), কার্বন ডাই অক্সাইড, আগন, নিওন, হিলিয়াম ক্লিপটন, জেনন, হাইড্রোজেন, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজোন প্রভৃতি গ্যাসের মিশ্রণ], (২) জলীয় বাষ্প এবং (৩) জৈব ও অজৈব কণিকা (যেমন : অতি ক্ষুদ্র খনিজ, লবণ, সমুদ্রতীরের বালুকণা এবং কয়লার গুঁড়ো বা ধোঁয়া) দিয়ে গঠিত।
হোমোস্ফিয়ারের প্রথম স্তরটি হল ট্রোপোস্ফিয়ার। এই স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯০% জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা, ধোঁয়া প্রভৃতি এই স্তরে অবস্থান করে। বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব এই স্তরেই সব চেয়ে বেশি বায়ুমণ্ডলের এই স্তরেই বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বিদ্যুৎ প্রভৃতি আবহাওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া দেখা যায়। ট্রপোস্ফিয়ারের ওপরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮-৮০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হোমোস্ফিয়ারের দ্বিতীয় স্তরটিকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে ধুলো বা ধোঁয়া না থাকলেও খুব সামান্য জলীয়বাষ্প ও ওজোন গ্যাসের স্তর আছে। এই ওজোনস্তর ভেদ করে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে পারে না।
এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব ট্রোপোস্ফিয়ারের তুলনায় কম থাকে। হোমোস্ফিয়ার স্তরের ওপরের অংশে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত এবং বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলো একরকমের থাকে না।
Read More
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .