হার্ডওয়্যার
শিক্ষাক্ষেত্রে যে সকল যান্ত্রিক বিষয়বস্তু ও যন্ত্রের প্রয়োগ করা হয় তাকেই হার্ডওয়্যার বলে।
Davis-র অভিমত, “হার্ডওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি হল শিক্ষাবিজ্ঞান ও প্রশিখন সিস্টেমে ভৌত বিজ্ঞানের প্রয়োগ”।
Marilon Nickson বলেছেন, “Hardware প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অনেকক্ষেত্রেই প্রয়োগ নিয়ে চর্চা করে যাতে ব্যক্তির ও সমাজের শিক্ষাগত চাহিদা সব মেটে”।
হার্ডওয়ারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত বিষয়বস্তু ও যন্ত্রপাতিগুলি হল-
১) দর্শন ভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ- বই, খাতা, চার্ট, মডেল, ফ্লিমস্ট্রিপ, স্লাইড, প্রদর্শনী সামগ্রী, চক্বোর্ড ইত্যাদি।
২) শ্রবণ ভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ- বেতার, টেপরেকডার, অডিও এবং ভিডিও টেলিফোন ইত্যাদি।
৩) শ্রবণ ও দর্শন ভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ- দূরদর্শন, চলচিত্র, ভিডিও, কম্পিউটার ইত্যাদি।
হার্ডওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য
হার্ডওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য গুলি হ’ল-
১) Hardware-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যে ইহা শিক্ষাবিজ্ঞানে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিবিদ্যার প্রয়োগ।
২) Hardware এর অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলি হল শ্রবণভিত্তিক, দর্শন ভিত্তিক এবং শ্রবণ ও দর্শন ভিত্তিক উপকরণ সমূহ।
৩) এই পদ্ধতির দ্বারা অধিক শিক্ষার্থীকে একসাথে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা সম্ভব।
8) Hardware পদ্ধতিতে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার খরচ অত্যন্ত কম।
৫) Hardware প্রযুক্তির দ্বারা ব্যক্তি বৈষম্য নীতি অনুযায়ী শিখনের ব্যবস্থা করা হয়।
৬) এর দ্বারা ব্যক্তিগত ও সমাজের শিক্ষাগত চাহিদা চরিতার্থ করা সম্ভব হয়।
৭) শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা অনুযায়ী সাফল্য অর্জনে ইহা সহায়তা করে।
৮) শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে সজীব ও স্পষ্ট ও আনন্দ পূর্ণ করে তোলে।
৯) Hardware এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হ’ল এখানে স্বয়ং শিখনের সুযোগ অনেক বেশি।
১০) শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যাবলীকে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ও Feedback সরবরাহের সংযোগ অনেক বেশি।
১১) Hardware-এর আর এক বৈশিষ্ট্য হ’ল ইহার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের প্রেরণার উদ্রেক ঘটানো সম্ভব।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .