পরিবেশজনিত নীতিশাস্ত্র
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিবেশ স্থিতিশীলতার অন্যতম উপায়। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মাধ্যমে প্রতিদিন পরিবেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষাকে সমর্থন করার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক যুক্তি ছাড়াও জৈব নীতিশাস্ত্রও জোরালো যুক্তি প্রদর্শন করে। নীতিশাস্ত্র সম্পর্কিত যুক্তিসমূহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য জন্যগণের প্রতি আদর্শগত সহজাত মূল্যবোধ জাগ্রত করতে সচেষ্ট হয়। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য নীতিশাস্ত্রীয় যুক্তিসমূহের প্রধান নির্দেশিকা গুলি হলো—
(ক) প্রত্যেক প্রজাতির বেঁচে থাকার অধিকার আছে, প্রত্যেক প্রজাতির নিজের কাছে তার জীবনের মূল্য অসীম এবং তা কেবলমাত্র মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত নয়।
(খ) প্রত্যেক প্রজাতি পারস্পরিকভাবে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল, কোন একটি প্রজাতির ক্ষয় বা ধ্বংস জলসমষ্টিতে অন্যান্য প্রজাতির উফর সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে।
(গ) অন্যান্য প্রজাতির মতো মানুষও বাস্তুতন্ত্রীয় সীমাবদ্ধতার মধ্যে বাস করে ও বেঁচে থাকে।
(ঘ) প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের কার্যকলাপ সম্পর্কে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং তার পরবর্তী বংশধরদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দায়িত্বশীল হতে হবে।
(ঙ) মানবজীবনকে শ্রদ্ধা করার পাশাপাশি মানব বৈচিত্র্যের সঙ্গে জীববৈচিত্র্যের সুসামঞ্জস্যতাকে শ্রদ্ধা করা।
(চ) প্রকৃতির আধ্যাত্মিক ও শাস্ত্রীয় মূল্য বর্তমান যা এর আর্থিকমূল্য অনেক বেশি ল্যবান।
(ছ) জীবনের উৎস অনুসন্ধানে জীববৈচিত্র্যের অবশ্যই প্রয়োজন আছে।
(জ) সম্পদসমূহের অযথা অপচয় বাঞ্ছনীয় নয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .