অপ্রচলিত শক্তি
যে সব শক্তির উৎস বর্তমানে কম ব্যবহৃত হয় , সেগুলিকে অচিরাচরিত বা অপ্রচলিত শক্তির উৎস বলে। আর এই সমস্ত শক্তির উৎস থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তি বলে। উদাহরণ— (১) সৌরশক্তি , (২) বায়ুশক্তি , (৩) জোয়ার ভাটার শক্তি , (৪) সামুদ্রিক ঢেউয়ের শক্তি , (৫) ভূতাপ শক্তি , (৬) জৈব গ্যাস প্রভৃতি অচিরাচরিত বা অপ্রচলিত শক্তির উৎস।
অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের সুবিধা
- অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় না।
- ক্ষুদ্রাকারে ব্যবহার করা যায় বলে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।
- প্রবহমান সম্পদ ( Flow resource ) বলে নিঃশেষিত হওয়ার আশংকা থাকে না।
- দেশের অধিকাংশ জায়গায় কোনো না কোনো উৎস সহজলভ্য।
অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের অসুবিধা
- অপ্রচলিত বলে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহজলভ্য নয়।
- সর্বত্র সমান মাত্রায় পাওয়া যায় না। যেমন — সমুদ্রোপকূল ছাড়া অন্যত্র জোয়ার ভাটার শক্তি দুর্বল। হিমমণ্ডলে সৌরশক্তি পর্যাপ্ত নয় । বায়ুশক্তি সর্বত্র ব্যবহারোপযোগী নয়।
- অচিরাচরিত শক্তির উৎস এক দেশ থেকে অন্য দেশে পরিবহন করা যায় না।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .