একজন নারী ও পুরুয় যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবার গঠন করে তাকে যখন খুশি ভেঙে ফেলা কোন মতেই সমর্থনীয় নয়। কিন্তু এমন কতকগুলি বিষয় আছে যেগুলি বিবাহ-বিচ্ছেদের যুক্তি হিসাবে গৃহীত হতে পারে। স্বামী ও স্ত্রী এই দুজনের মধ্যে যদি একজন বা উভয়েই যৌন অনাচারে লিপ্ত হয় তাহলে বিবাহের অন্যতম প্রধান কারণে আঘাত হানা হয়। পারিবারিক ঐক্য ক্ষুণ্ন হলে সেক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য একপক্ষ বা উভয়পক্ষই আবেদন করতে পারে। সামাজিক ও পারিবারিক ঐক্য নষ্ট হয় যদি কেউ বিবাহের পর নিজের ধর্মমত পরিবর্তন করে। এর লক্ষ্য হল স্ত্রীকে বিদায় দেওয়া, নারীজীতিকে এইভাবে বিপদে ফেলা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ সমর্থনীয় যদি বিচ্ছেদের আবেদন করার আগে থেকে তিন বছর স্বামী অথবা স্ত্রী দুরারোগ্য মানসিক ব্যাধিতে ভোগে বা কুষ্ঠ ব্যাধিতে ভোগে। যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করার পূর্ব থেকে তিন বছর কোন সংক্রামক যৌন ব্যাধিতে ভোগে তাহলে তাদের বিবাব-বিচ্ছেদ ঘটানো যেতে পারে। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যদি কেউ সাধু সন্ন্যাসী হয়ে যান তাহলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া যদি কমপক্ষে সাত বছর কোন পক্ষের বেঁচে থাকার খবর না পাওয়া যায়, তাহলে অন্য পক্ষকে ঐ বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। বিবাহ বিচ্ছেদ করা যেতে পারে যদি আইনসিদ্ধ পৃথকীকরণের (judicial separation) ডিক্রী পাওয়ার পর উভয়ে কমপক্ষে দুবছর সহবাস না করে।
সাধারণভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ সমর্থনীয় না হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য, সেজন্য যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভোগে, বা ব্যভিচারে লিপ্ত থাকে তাহলে বিবাহ-বিচ্ছেদ সমর্থনীয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .