স্বাধীনতার পূর্বে নারী শিক্ষা
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় নব জাগরণের সময় নারী শিক্ষা বিস্তার লাভ করে। নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ প্রভৃতি রোধ হয় যা নারী শিক্ষার সহায়ক হয়। রামমোহন রায় মিশনারিদের সহযোগিতায় নারীশিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ব্রিটেনের সমাজসেবিকা ও রামমোহন রায়ের যৌথ প্রচেষ্টায় ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি ট্রেনিং কলেজ স্থাপন করেন। রাধাকান্ত দেব শোভাবাজারে মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। নারী শিক্ষার আন্দোলনে যার নাম অবশ্যই স্মরণীয় তিনি হলেন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৩৫টি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাছাড়া স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখের ভূমিকা নারী শিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ।
এর পর জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের সময় নারী-স্বাধীনতার আন্দোলনও জোরদার হয়। নারী-স্বাধীনতার মূলে রয়েছে নারী শিক্ষা, তাই এই সময়ে নারী শিক্ষা গুরুত্ব পায়। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতে সেই সময় মেয়েদের সাধারণ কলেজ ছিল ১২টি এবং পেশাগত শিক্ষার কলেজ ছিল ৪টি।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .