বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় স্তরে নারীশিক্ষার প্রসার
নারীর শিক্ষাগত অবস্থান
“Towards Equality” বা সমতার লক্ষ্য দলিলটি প্রকাশিত এবং সংসদে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে এদেশে নারীর শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিত অবস্থিত নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা ও গবেষণা শুরু হয়ে যায়। এদিকে স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের সমৃদ্ধি, উন্নতি ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষার অগ্রণী ভূমিকা ও শিক্ষায় নারীদের ব্যপকভাবে অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব লাভ করে। নারীর শিক্ষা সম্বন্ধে শতাব্দব্যাপী যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ভ্রান্ত পরিবেশ ও মানসিকতা বর্তমান ছিল তার অবসান করা প্রয়োজন একথা সর্বসাধারণে স্বীকৃত হ’তে শুরু হ’ল। ঊনিশ শতকে অবশ্য ভবিষ্যৎদৃষ্টি সম্পন্ন সমাজ-সংস্কারকেরা নারীর শিক্ষার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁদের প্রযত্নে বহু প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ স্থাপিত হয়েছিল যা কিনা শুধুমাত্র শিক্ষা সম্বন্ধে উদ্যোগী ছিল। “লেখাপড়া শিখলে মেয়েরা বিধবা হবে”—এই অসত্য ধারণাটি মেয়েদের মধ্যেও বদ্ধমূল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সমাজ-সংস্কারকদের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং শিক্ষায়তনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেয়েরা ক্রমে ক্রমে এই অসাড় ভাবধারা থেকে মুক্ত হতে আরম্ভ করে। এছাড়া শিক্ষার যে একটা অর্থনীতিগত মূল্য আছে সে সম্বন্ধে তারা ধীরে ধীরে সজাগ হতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই বিশ্বব্যাপী মন্দা-র কারণে ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও এক বিরাট সংকট এসে পড়ে। কলকারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই, সরকারী কর্মচারীদের বেতন থেকে দশ থেকে পনের শতাংশ কাটা ইত্যাদির ফলে দেশে এক গভীর অর্থনৈতিক সংকট দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষিত মহিলারা শিক্ষকতার ক্ষেত্রে কিছু চাকরী পায়। শিক্ষার এই আশু ফললাভে তারা উৎসাহিত বোধ করে, ব্যাপকতর সংখ্যায় শিক্ষা গ্রহণে উদ্যোগী হয়। এই উদ্যোগে ছেদ পড়েনি এবং তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন মহিলারা শুধু প্রাথমিক শিক্ষাই নয়, উচ্চতর শিক্ষা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও শিক্ষাগ্রহণ করছে এবং দেশের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এ শিক্ষা ফলপ্রসূ হচ্ছে।
নারী শিক্ষার হার
নারীর শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে অনুকুল বাতাবরণ সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও শিশুক্ষেত্রে তারা তেমন সিদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। সার্বজনীন শিক্ষা-র প্রশ্নই ওঠে না। ১৯৯১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী ভারতে সাক্ষর নারীর অনুপাত ছিল ৩৯.১৩ শতাংশ। এই অনুপাত অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রার। কেরলে শতকরা ৭৩ জন নারী শিক্ষিত। এটি যেমন একটি দৃষ্টান্তমূলক অবস্থা, অন্য কিছু রাজ্যে সাক্ষর নারীর সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। রাজস্থান, বিহার, মধ্যপ্রদেশ (সংক্ষেপে বিমারু) রাজ্যগুলিতে ১০-১২ শতাংশ নারী সাক্ষরতা অর্জন করেছে। রাজ্যগতভাবেই নয়, অঞ্চল, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণীগতভাবেও নারীর সাক্ষরতার হার বিভিন্ন এবং নিম্নমানের। এছাড়া, জনসংখ্যার হার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, শিক্ষাজগৎ থেকে নারী তত বাদ পড়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ আদমসুমারীতে দেখা গেছে ৬-১১ বছরের মেয়েদের ৪৫ শতাংশ, ১২-১৪ বছরের মেয়েদের ৭৫ শতাংশ এবং ১৫-১৭ বছরের মেয়েদের ৮৫ শতাংশ “বিদ্যালয় ছুট’ বা School Dropout অর্থাৎ তারা হয়ত কোন সময়ে স্কুলে ভর্তি হয়েছিল কিন্তু পড়াশুনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। প্রাথমিক স্তরের পড়াশুনা শেষ হবার আগেই ৫০ শতাংশ মেয়ে বিদ্যালয় ছুট হয় বা হতে বাধ্য হয়। তুলনামূলকভাবে, মাধ্যমিক পর্যায়ে যেখানে ছেলে পড়ুয়াদের অনুপাত ৬৩ শতাংশ মেয়ে পড়ুয়ারা মাত্র ৩৬ শতাংশ। ছেলে ও মেয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে এই ফারাক কিন্তু মেয়েদের কোন বুদ্ধিবৃত্তির অভাবজনিত কারণে নয়, কারণটা আর্থসামাজিক ও সংস্কৃতিগত।
নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিকূল শক্তিসমূহ
একটু আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিক্ষাসম্বন্ধে আগ্রহ থাকলেও আর্থসামাজিক ও সংস্কৃতিগত কারণে মেয়েদের শিক্ষা ব্যাহত হয়ে থাকে। নিম্নবিত্ত ও গ্রামীন পরিবারে একটি কন্যা শিশুকে (৬-১১ বছর বয়স) সংসারে বহু কাজকর্ম করতে হয় যেমন, ছোট ভাইবোনদের আগলান, টিউবওয়েল অথবা পুকুর থেকে জল আনা, জ্বালানী সংগ্রহ, ঘরের কাজে মাকে সাহায্য করা, পরিবারের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখা শোনা করা ইত্যাদি। সরেজমিনে একটি সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে, নিম্নবিত্ত পরিবারের একটি মেয়েকে (৬-১১ বছর বয়সের) সকাল ৫টা থেকে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত বিশটি বিভিন্ন ধরনের সাংসারিক কাজ করতে হয়। ফলে, তার স্কুলে যাবার প্রয়োজন কেউ অনুভব করে না। সাময়িকভাবে স্কুলে গেলেও তাকে আবার ঘরের কাজ করবার জন্য স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ভাবনাটা একটু অন্য রকম। ছেলেকে লেখাপড়া শেখাতে হবে কারণ সে বড় হয়ে বাবা, মা-র প্রতিপালন করবে। মেয়েদের সম্বন্ধে হীনমন্যতার একটি অর্থবহ থাকায়, তা কি না বিভিন্ন গ্রামীণ প্রবাদে পরিস্ফুট ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তাদের শিক্ষার বিষয়টি গৌণ হয়ে দাঁড়ায়। এখানে বাংলার গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত কয়েকটি প্রবাদ তুলে ধরা হচ্ছে। এসব থেকেই স্পষ্ট হবে যে সংসারে মেয়েরা কতটা আদৃত এবং কতটা বর্জনীয়।
১। সাতরাজার ধন ব্যাটা
মেয়ে গলার কাঁটা
২। মেয়ে হয়ে জন্ম নিলি
আঁতুড়েই কেন না মরলি।
৩। যার নাই মেয়ে
সে বড়লোক সবার চেয়ে।
৪। ব্যাটা করবে পড়াশুনা
মেয়ে শিখবে ঘরকন্না।
৫। ছেলের বেলায় রূপার থালা
মেয়ের বেলায় হেলাফেলা।
৬। কন্যা যাবে পরের ঘরে
মানুষ করব কি?
৭। ব্যাটার ঘরের নাতি
স্বর্গে দেবে বাতি।
৮। মেয়ে হলে আয়ু কমে
বাবা মা-কে টানে যমে।
পরিবারে, সমাজে মেয়েদের হীনাবস্থার চিত্র এসব প্রবাদে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। মেয়েরা যে ‘lesser child’ এসব প্রবাদে তা অত্যন্ত স্পষ্ট। জনকজননীর কাছেও কন্যাসন্তান আপন ঘরের নয়, পরের ঘরের। সুতরাং কন্যাসন্তান সম্বন্ধে তাদের দায়িত্ব ন্যূনতম। এ অবস্থায় পরিবারে মেয়েদের পড়াশুনার বিষয়টিও ন্যূনতম গুরুত্ব পেয়ে থাকে। বরং তারা যদি খন্ডকালীন কাজ করে যেমন, অন্যের বাড়ীতে ঘরমোছা, বাসন ধোওয়া ইত্যাদি, মা বাবাকে আর্থিক সাহায্য দেয়, তাহলে সেটাই বেশী কাম্য হয় মা বাবার কাছে। তাছাড়া, বাল্য বিবাহ প্রথা মহা আড়ম্বরে বহাল থাকায় এবং দৈনন্দিন জীবনে মেয়েদের চলাফেরা অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় মেয়েরা স্কুলে যাওয়া অর্থাৎ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে বাড়ীর কাছাকাছি স্কুল থাকে না। ৩/৪ মাইল পথ হেঁটে যেতে হয় স্কুলে পৌঁছতে। আবার বাড়ীর কাছাকাছি স্কুল যদি বা থাকে, শিক্ষিকার অভাবে ঐসব স্কুলে বাবা-মা মেয়েকে পাঠাতে অনিচ্ছুক হন, কিংবা স্কুলে মেয়েদের পাঠালেও, অতি শীঘ্র ছাড়িয়ে আনতে দ্বিধা করেন না। এসব বাস্তব প্রতিকূলতা ছাড়াও কিছু অন্য ধরণের প্রতিকূলতা বর্তমান। পাঠ্যসূচীর অন্তর্গত গল্পকাহিনীগুলি অধিকাংশক্ষেত্রেই ছেলেদের গুণকীর্তন ধর্মী হয়ে থাকে। পাঠ্যবিষয় ও শিক্ষক-শিক্ষিকা উভয়ই পুরুষপ্রাধান্য বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মেয়েদের বুদ্ধিশক্তি সম্বন্ধে কটাক্ষপাত করে, যেমন বিজ্ঞানে মেয়েদের দক্ষতা ছেলেদের থেকে-অনেকাংশে কম অথবা মেয়েরা গণিত শাস্ত্র বিমুখ যে। একমাত্র রান্নাঘরেই মেয়েদের বিকাশ সুচারুভাবে হতে পারে ইত্যাদি ধরনের সৎবাঁধা অভিমত মেয়েদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করান হয়। জ্ঞানের কোন ক্ষেত্রেই যে মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে ন্যুন নয় তা নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সুদীপ্তা সেনগুপ্তার দক্ষিণ মেরু অভিযান, কল্পনা চাওলার মহাশূন্যে পাড়ি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের অসামান্য অবদান প্রমাণ করছে যে, মেয়েদের সম্বন্ধে সাবেক কালের গৎবাঁধা অভিমতের দিন শেষ হয়েছে। সুযোগ পেলে ও সহায়তা পেলে মেয়েরা নিশ্চিতভাবে সমান শিক্ষার সুব্যবহার করতে পারে এবং সফল হয়। স্কুলে কলেজের পাঠ্যবস্তুতে মেয়েদের সম্বন্ধে যেসব কাল্পনিক এবং গৎবাঁধা অভিমত আছে, সেই লিঙ্গভিত্তিক বিচারগুলি অগ্রাহ্য করে নতুন পাঠ্যবিষয় লেখার চেষ্টা চলেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষাদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা আয়োগগুলি, যথা NCERT এই লিঙ্গ সূচক পাঠ্যবিষয়গুলি বদল করার কাজে উদ্যোগ নিয়েছে।
নারী ও উচ্চশিক্ষা
নারী ও উচ্চশিক্ষা-এই ক্ষেত্রটি কিছুটা ব্যতিক্রমী। আঞ্চলিক পার্থক্য সত্ত্বেও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে কলেজীয় শিক্ষা একটি প্রচলিত ব্যাপার। ১৭-২৩ এই বয়সী মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের অনুপাত ও শতাংশ। তুলনামূলকভাবে, ঐ অনুপাত ছেলেদের ক্ষেত্রে এমন কিছু আশাব্যঞ্জক নয় অর্থাৎ৫ শতাংশ। সার্বিক তালিকায় মেয়েদের অনুপাত ৩০ শতাংশের মত। এ থেকে দু’টি সিদ্ধান্ত করা যেতে পারে। প্রথমত, উচ্চশিক্ষা উচ্চবিত্তের মেয়েদের পক্ষেই সম্ভব এবং দ্বিতীয়ত, উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত এসব মেয়েরা তাবৎ কুসংস্কারের বন্ধনমুক্ত হয়ে ক্রমাগত এগিয়ে যাবার চেষ্টা করে থাকে। তবে উচ্চশিক্ষার পথ এসব নারীদের পক্ষে সুগম হলেও বিভিন্ন বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায়, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে বাধার সৃষ্টি হয়। মেয়েদের মধ্যে মানবিকী বিদ্যার প্রতিই আকর্ষণ বেশী। কিন্তু বানিজ্য বিষয়ক শিক্ষায়ও মেয়েরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও ইনজিনিয়ারিং, স্থাপত্য, আইন প্রভৃতি বিভাগে ছাত্রীর সংখ্যা মুষ্টিমেয়ই ছিল। কিন্তু বর্তমানে ঐ সব বিভাগে ছাত্রী সংখ্যা অনেকগুণ বেড়েছে। চিকিৎসাবিদ্যায়ও মেয়েদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশ্চাত্য দেশের মত আমাদের দেশে এ বিষয়টির অধ্যয়ন ও অনুশীলন নিন্দনীয় নয়। কারণ আজ থেকে শতবর্ষ আগে আনন্দীবাই যোশী, অবলা বসু (বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর স্ত্রী) বিদেশ থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়ে এসেছিলেন। তবে বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়নে আমাদের দেশে একটি বিরাট অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, তা হল পঠনেচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীকে এক মোটা অঙ্কের মাশুল (Capital Fee) দিয়ে শিক্ষায়তনে ভর্তি হতে হয়। এবং এই ব্যবস্থাটি ক্রমবর্ধমান ও স্থায়ী রূপ নিতে চলেছে যদিও এর বিরুদ্ধে ভারত সরকারের আইন বলবৎ আছে। এখানে একটি সঙ্গত প্রশ্ন তোলা যেতে পারে—মেয়েদের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা কি? শিক্ষার অভিজাততন্ত্রী প্রকৃতি এবং অত্যন্ত কঠিন প্রতিযোগিতামূলক বিয়ের বাজারের প্রেক্ষিতে, কলেজ নামক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঠিক বিদ্যাবিতরণ ও বিদ্যাঅর্জনের সংস্থা বলা যায় না। অথবা চাকরির জন্য প্রকৌশল অর্জনের কেন্দ্র ও বলা যায়না। অধ্যাপক শ্রীনিবাসের দূরে সুর মিলিয়ে বরং বলা যেতে পারে যে, কলেজগুলি, হ’ল বিবাহেচ্ছুক মেয়েদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট প্রতীক্ষলয়। তাছাড়া, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমগুলি, বিশেষ করে বাণিজ্যিক ফিল্মগুলি, এখনও শিক্ষিতা মেয়েদের সন্দেহের চোখে দেখে। তার সঙ্গে যুক্ত থাকে কিছু নঞর্থক চারিত্রক বৈশিষ্ট্য যথা, আক্রমণাত্মক মনোভাব, দুর্বিনীত এবং অসৎ। এক কথায়, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোতে, নারীর শিক্ষাগত উৎকর্ষ যা-ই হোক না কেন, তাকে নির্ভরপরায়ণ হতেই হবে। ফলে, শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের অবস্থিতি এক উভয় সঙ্কটের সৃষ্টি করে। এ কারণে শহরভিত্তিক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারী শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীন ব্যক্তিত্বের দাবী করতে পারে না।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .