ভারতের খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চল
সম্ভাবনাময় তেল সঞ্চয়কারী টার্শিয়ারি যুগের পাললিক শিলাস্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬ টি অঞ্চলে ব্যাবসায়িকভাবে তেল উত্তোলন করা হয়। এগুলি হল—
অসমের ঊর্ধ্ব ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা
স্বাধীনতার আগে এটিই ছিল দেশের একমাত্র খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চল। এখানকার তেল উত্তোলনের কেন্দ্রগুলি হল— ডিগবয় , নাহারকাটিয়া , রুদ্রসাগর , মোরান , হুগরীজান , লাকোয়া , বদরপুর প্রভৃতি । এগুলির মধ্যে নাহারকাটিয়া থেকে বর্তমানে বেশি তেল উত্তোলিত হয়।
গুজরাত
১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এখানে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হয়। এখানকার তেলের খনিগুলি হল—
- আঙ্কলেশ্বর অঞ্চলের আঙ্কলেশ্বর ও কোসাম্বা ,
- আমেদাবাদ অঞ্চলের কালোল , সানন্দ , ওয়াভেল , নওয়াগাম ও কাদি এবং
- কাম্বে অঞ্চলের লুনেজ , বাকল , কাথানা , ধোলকা ও মহেসাণা । এছাড়া গান্ধার নামক স্থানেও তেলখনি আবিষ্কৃত হয়েছে।
মুম্বাই দরিয়া
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বন্দর থেকে প্রায় ১০০-১৫০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে মুম্বাই দরিয়ায় বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চলটি অবস্থিত। এটি সমুদ্রগর্ভের তেলখনি। ১৯৭৪ সালে প্রথম সাগর সম্রাট নামে বিশেষভাবে নির্মিত একটি ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা জাহাজের সাহায্যে এখানকার বিভিন্ন কূপ থেকে তেল উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি মুম্বাই দরিয়ার আশেপাশে কয়েকটি নতুন জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেমন — মুম্বাই নগরীর উত্তরে বাসিন এলাকার সমুদ্রগর্ভে তেলখনি আবিষ্কৃত হয়েছে।
উল্লিখিত তিনটি প্রধান খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চল ছাড়া বর্তমানে (4) অরুণাচল প্রদেশের নিম্ন পার্বত্য এলাকা , (5) অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী বদ্বীপ এলাকা ( কাকিনাড়া থেকে ৭০ কিমি দক্ষিণে ) এবং (6) তামিলনাড়ুর কাবেরী অববাহিকার ভুবনগিরি অঞ্চল থেকে অল্প পরিমাণে তেল উত্তোলন করা হয় । এছাড়া ত্রিপুরা সমভূমি অঞ্চলেও সামান্য তেল উত্তোলন করা হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .