বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা ও জলীয়বাষ্পের গুরুত্ব
বায়ুমণ্ডলের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হল ধূলিকণা। এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ—
- বর্তমানে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, বায়ুমণ্ডলে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করেই জলীয় বাষ্প জলবিন্দুতে পরিণত হয় বা মেঘ ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়।
- ধূলিকণার জন্যই আকাশে এত বর্ণবৈচিত্র্যের মেলা, এত সৌন্দর্য। সূর্যালোক বায়ুমণ্ডলে প্রতিসৃত এবং ধূলিকণায় বিচ্ছুরিত হয়ে নানা বর্ণের তরঙ্গ সৃষ্টি করে। এগুলির মধ্যে নীলাভ আলোর প্রাধান্যই বেশি। তাই আকাশকে এত নীল দেখায়। বায়ুমণ্ডলে যদি ধূলিকণা না থাকত, সূর্যালোক বিচ্ছুরিত না হত তাহলে, দিনেরবেলাও আকাশ গভীর অন্ধকারে ডুবে থাকত।
বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের গুরুত্বও অপরিসীম। কারণ—
- বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প আছে বলেই মেঘ সৃষ্টি হয় এবং এই মেঘ থেকেই বৃষ্টিপাত ঘটে।
- জলের আর এক নাম জীবন। জলীয় বাষ্প না থাকলে পৃথিবীতে জীবনের কোনো অস্তিত্বই থাকত না।
- শিশির, কুয়াশা, শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত প্রভৃতি জলীয় বাষ্পের বিভিন্ন অবস্থা বা বৃষ্টিপাত কোনো স্থানের জলবায়ু নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের জলবায়ু আর্দ্র আবার স্বল্প বৃষ্টিপাত বা জলীয় বাষ্পের স্বল্পতা শুষ্ক মরু জলবায়ুর সৃষ্টি করে।
Read More
- পশ্চিমবঙ্গের কৃষির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
- পশ্চিমবঙ্গের মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
- বায়ুর উষ্ণতা ও চাপের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
- বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণগুলি উল্লেখ করো।
- পৃথিবীর প্রধান বায়ুচাপ বলয়গুলির চিত্রসহ আলোচনা করো।
- পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক অবস্থান ও গুরুত্ব লেখো।
- পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্য সমূহের বিবরণ দাও।
- অঙ্গরাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব আলোচনা করো।
- পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ এর পরিচয় দাও।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .