বহিজাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য
যে সকল প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের ওপর সব সময় ক্রিয়াশীল থেকে ভূমিরূপ গঠনে সাহায্য করে তাদের বহির্জাত প্রক্রিয়া বলা হয়। এই বহির্জাত প্রক্রিয়া (i) আবহবিকার, (ii) ক্ষয়ীভবন ও (iii) নগ্নীভবনের দ্বারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়। নদী, হিমবাহ, বায়ু, সমুদ্রতরঙ্গ, আবহবিকার, পুঞক্ষয় প্রভৃতি হল এই প্রক্রিয়ার উল্লেখযােগ্য উদাহরণ।
পদ্ধতিসমূহ
বহির্জাত শক্তি মূলত তিনটি পদ্ধতিতে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে। যেমন—(a) আরােহণ, (b) অবরােহণ ও (c) জৈবিক পদধতি।
আরােহণ বা সঞ্চয় পদ্ধতি
যে সব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায় তাদের আরােহণ বা সয় পদ্ধতি বলে। আরােহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী উপাদানগুলি হল—প্রবহমান জলধারা, ভূগর্ভস্থ জল, হিমবাহ, বায়ু, সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতি।
অবরােহণ বা ক্ষয় পদ্ধতি
যে সব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলামণ্ডলের উচ্চতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায় তাদের অবরােহণ বা ক্ষয় পদ্ধতি বলে। অবরােহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী উপাদানগুলি হল—আবহবিকার, ক্ষয়ীভবন, নগ্নীভবন ও পুঞক্ষয়।
জৈবিক পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে সমগ্র জীবজগৎ অর্থাৎ উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষ ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়। বাঁধ নির্মাণ, জলাভূমি ভরাট প্রভৃতি কাজে মানুষ ও জীবজগতের প্রভাব অপরিসীম।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .