Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

আবহাওয়া ও জলবায়ু কাকে বলে? আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।

আবহাওয়া ও জলবায়ু কাকে বলে? আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।

আবহাওয়া কাকে বলে

কোনো নির্দিষ্ট স্থানের, কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তরের কতকগুলো পরিবর্তনশীল উপাদানের অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।

বায়ুমণ্ডলের এইসব পরিবর্তনশীল উপাদানগুলো হল : বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতা, মেঘ, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত প্রভৃতি। আবহাওয়া সবসময়েই পরিবর্তনশীল। একই দেশের ছোট্ট একটি অঞ্চলেও আবহাওয়া অল্প সময়ের ব্যবধানেই বিশেষভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য, কোনো স্থানে বা কোনো অঞ্চলে আবহাওয়া প্রতিদিন, এমনকী প্রতি ঘন্টায়ও পালটে যেতে পারে।

জলবায়ু কাকে বলে

একটি বৃহৎ অঞ্চলের আবহাওয়ার দৈনন্দিন অবস্থার বহুদিনের (অন্তত ৩৫ বছরের) বিবরণকে সেই অঞ্চলের জলবায়ু বলা হয়।

আবহাওয়ার উপাদানসমূহ, যেমন বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুর চাপ, বায়ুর আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত ইত্যাদির গড় অবস্থা থেকে কোনো অঞ্চলের জলবায়ু সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারনা করা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ুরও পার্থক্য লক্ষ করা যায়।

জলবায়ু ও আবহাওয়ার পার্থক্য

জলবায়ু ও আবহাওয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য হল স্থানের ব্যাপকতা ও সময়ের ব্যবধান। আবহাওয়া হল কোনো স্থানে বায়ুমণ্ডলের স্বল্প সময়ের গড় অবস্থা, কিন্তু জলবায়ু বলতে বৃহৎ অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলের ৩০-৩৫ বৎসরের গড় অবস্থাকে বোঝায়।

প্রত্যেক দিনই যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, জলবায়ুর পরিবর্তন তেমনি হয় ঋতুভেদে বা স্থানভেদে। কোনো স্থানের অক্ষাংশ, উচ্চতা, সমুদ্র থেকে দূরত্ব প্রভৃতি সেই স্থানের জলবায়ুর উপাদান হিসেবে কাজ করে। এছাড়া স্থানীয় ভৌগোলিক উপাদানও সেই স্থানের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া, পৃথিবীর সব অঞ্চলের জলবায়ুও একই রকমের হয় না

যেমন : পৃথিবীর কোনো অঞ্চল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, আবার কোনো অঞ্চল প্রচণ্ড গরম, কোনো অঞ্চল বৃষ্টিবহুল, কোনো অঞ্চলে আবার বৃষ্টি প্রায় হয় না বললেই চলে। জলবায়ু ঠিক গড় আবহাওয়া নয়, কেন না গড় আবহাওয়া থেকে প্রত্যেক দিনের আবহাওয়ার যে বিচ্যুতি, জলবায়ু গঠনে সেগুলোর ভূমিকা কিছু কম নয়। জলবায়ু হচ্ছে বায়ুমণ্ডলের সাধারণ অবস্থা।

আবহাওয়াজলবায়ু
কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর উষ্ণতা, চাপ, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা,
বৃষ্টিপাত প্রভৃতি উপাদানের অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।
কোনো বিস্তৃত অঞ্চলের কমপক্ষে ৩০-৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
আবহাওয়া হল বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের রোজকার অবস্থা।জলবায়ু হল বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের স্বল্পকালের সামগ্রিক অবস্থা।
আবহাওয়া স্বল্প পরিসর স্থানের বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা সূচিত করে।জলবায়ু বিস্তৃত অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘকালীন গড় অবস্থা নির্দেশ করে।
কোনো স্থানের আবহাওয়া প্রতিদিন এমনকী প্রতি ঘন্টায়ও পরিবর্তিত হয়।কোনো অঞ্চলের জলবায়ু প্রতিদিনের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয় না।
আবহাওয়া সহজেই পরিবর্তিত হয়।জলবায়ুর পরিবর্তন হয় ঋতুভেদে।
আবহাওয়া হল জলবায়ুর বিভিন্নতা।জলবায়ু হল আবহাওয়া সমন্বয়।

Read More

Leave a reply