Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

ক্রীতদাস বা দাস কাকে বলে ? গ্রিসের ক্রীতদাস সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।

ক্রীতদাস বা দাস কাকে বলে ? গ্রিসের ক্রীতদাস সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।

ক্রীতদাস বা দাস

দাস বা ক্রীতদাস ও বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দাসপ্রথা বা ক্রীতদাস প্রথার সংজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। এগুলি হলাে –

1. সাধারণভাবে বলা যায় যে যেসব শর্তের ওপর ভিত্তি করে কোনাে বস্তু বা সম্পদকে কোনাে ব্যক্তির সম্পত্তি বলা চলে, সেগুলির কোনাে এক বা একাধিক শর্ত যদি কোনাে মানুষের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হয়, তবে ওই মানুষটিকে ‘দাস’ বলা হয়।

2. অ্যারিস্টটল বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষ হয়েও সম্পত্তি মাত্র, সে অন্যের অধীন। সে বিষয়সামগ্রী পরিচালনা বা দেখাশােনার উদ্দেশ্যে নিযুক্ত যন্ত্র মাত্র এবং তার সত্তা মালিকের সত্তার থেকে পৃথক।

3. ডিও ক্রাইসসটম বলেছেন যে গবাদি পশু বা অন্য কোনাে সম্পত্তির মতােই দাসেরও প্রভু থাকে। প্রভু নিজের ইচ্ছামতাে তার অধীনস্থ দাসকে ব্যবহার করতে পারে।

গ্রিসের ক্রীতদাস সমাজের বৈশিষ্ট্য 

গ্রিসের দাসপ্রথার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। নীচে এগুলি উল্লেখ করা হলাে –

দাস সৃষ্টি 

প্রাচীন গ্রিসে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে দাসপ্রথা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এযুগে —

1. শত্রুপক্ষের বিভিন্ন যুদ্ধবন্ধি ও জলদস্যুদের বন্দি করে ক্রীতদাসে পরিণত করা হয়। বন্দিদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিরাও একই সঙ্গে ক্রীতদাসে পরিণত হতাে

2. গ্রিক জলদস্যুরা বাণিজ্য জাহাজ আক্রমণ করে বা সমুদ্র তীরবর্তী জনপদ থেকে লােকজন ধরে নিয়ে এসে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিত ।

3. ঋণপরিশােধে ব্যর্থ ব্যক্তি বা অপহৃত শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করা হতাে এবং ক্রীতদাসদের সন্তান-সন্ততিকেও ক্রীতদাসে পরিণত করা হতাে।

দাস আমদানি 

চাহিদার তুলনায় সেখানে যুদ্ধবন্দি ক্রীতদাসের সংখ্যা বেশ কম ছিল। এজন্য বাইরে থেকে ক্রীতদাস এনে সেই চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হতাে। গ্রিসের বেশিরভাগ দাসই বিদেশ থেকে আসত।

কাজের দায়িত্ব 

গ্রিসে দাসদের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত করা হতাে। এগুলি হলাে

1. অধিকাংশ দাস গৃহভৃত্য হিসেবে কাজ করত। প্রভুর গৃহে রান্নাবান্না, শস্য ঝাড়াই, কাপড় বােনা, গৃহস্থালির যাবতীয় কাজ ছাড়াও প্রভুর সেবা, জিনিসপত্র বহন করা প্রভৃতি কাজও দাসরা করত।

2. প্রভু তার দাসকে নিজের ব্যাবসাক্ষেত্রে বা উৎপাদনকার্যে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করত বা অন্যত্র ভাড়া খাটিয়ে প্রভূত অর্থ উপার্জন করত। পাথর ভাঙা বা খনি থেকে ধাতু-আকরিক তােলার মতাে পরিশ্রমসাধ্য কাজে, হস্তশিল্পে প্রচুর দাস নিযুক্ত হতাে।

উপসংহার

প্রাচীন গ্রিসে ক্রীতদাসদের অবস্থান ছিল সমাজের সবচেয়ে নীচের স্তরে। বিভিন্ন নগররাষ্ট্রে এদের সামাজিক অবস্থানের প্রকৃতিগত কিছু পার্থক্য থাকলেও ক্রীতদাস প্রথার মূল কাঠামােটি কিন্তু সর্বত্র একই রকম ছিল।

Download PDF

Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.

Leave a reply