সংবিধান সভা গঠনের পটভূমি
স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠে গণপরিষদ। গণপরিষদ যেভাবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধান রচনা করেছে তা প্রশংসনীয়। তাই অধ্যাপক জোহারি বলেছেন, “গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান রচনা বর্তমান শতকের একটি উল্লেখযােগ্য ঘটনা।
গণপরিষদের গঠন
ক্যাবিনেট মিশনের পরিকল্পনা অনুসারে গণপরিষদ গড়ে তােলা হয়। এর মােট সদস্য ৩৮৯ জন। এদের মধ্যে প্রাদেশিক আইনসভা থেকে নির্বাচিত সদস্য ২৯২ জন। ২৯২ জনের মধ্যে মুসলিমদের জন্য ৭৮টি আসন, শিখদের জন্য ৪টি এবং সাধারণের জন্য সংরক্ষিত হয় ২১০টি আসন। চিফ কমিশনার শাসিত প্রদেশ থেকে আসেন ৪ জন। এছাড়া ৯৩ জন দেশীয় রাজ্যগুলির প্রতিনিধি।।
প্রকৃতি
১৯৪৬ সালের ১৬ জুন ক্যাবিনেট মিশন যে প্রস্তাব পেশ করে তাতে বলা হয় একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার পরিচালনার জন্য গড়ে উঠবে একটি গণপরিষদ।
দলমত নির্বিশেষে গঠিত নয়
সব দলের প্রতিনিধি ছিল না। ১৯৪৬-এর ৯ ডিসেম্বর গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন আহূত হয়। কিন্তু মুসলিম লিগ মুসলিম ভারতের জন্য পৃথক গণপরিষদ গঠনের দাবিতে অধিবেশন বর্জন করে। ফলে ভাইসরয় পাকিস্তানের জন্য স্বতন্ত্র গণপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
জনপ্রতিনিধিত্বহীন
ভারতীয় গণপরিষদকে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক বলা চলে না। কারণ কোনাে সদস্যই প্রাপ্তবয়স্কের ভােটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত হননি। ১৯৪৬ সালে নির্বাচিত বিধানসভার সদস্যরা গণপরিষদের সদস্য নির্বাচন করেন।
গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কংগ্রেসের প্রাধান্য
গণপরিষদের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি ছিল। প্রত্যেক কমিটিতে রাজেন্দ্র প্রসাদ, নেহরু, প্যাটেলের মতাে প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা সভাপতি পদে ছিলেন। বিভিন্ন কমিটিতে অন্য সদস্যরা ছিলেন পট্টভি সীতারামাইয়া, জি বি পন্থ, বি আর আম্বেদকর প্রমুখ কংগ্রেস নেতা।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .