মকর সংক্রান্তি
নিজের কক্ষতলের সঙ্গে 66\tfrac{1}{2}^{\circ} কোণ করে পৃথিবীর মেরুরেখা নিজের কক্ষপথ ধরে অবিরাম সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এভাবে পৃথিবীর সূর্য পরিক্রমার সময়, বছরের কয়েকটি বিশেষ দিনে মধ্যাহ্ন সূর্যরশ্মি পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কয়েকটি অক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে। সেই সময় ভূপৃষ্ঠের অন্যত্র সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত হয়। ফলে একদিকে যেমন : দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি হয়, অন্যদিকে তেমনি পরিবর্তন ঘটে।
২২শে ডিসেম্বর তারিখে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে এবং ঐ দিন সূর্যকিরণ দক্ষিণ গোলার্ধে মকরসংক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে। ফলে ২২শে ডিসেম্বর তারিখে দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড়ো এবং রাত সবচেয়ে ছোটো (১৪ ঘণ্টা দিন ও ১০ ঘণ্টা রাত্রি) হয়।
ঐদিন উত্তর গোলার্ধে ঠিক বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয় (অর্থাৎ ১০ ঘন্টা দিন এবং ১৪ ঘন্টা রাত)। ২২শে ডিসেম্বর তারিখে সূর্য দক্ষিণায়নের শেষ সীমা মকরসংক্রান্তি রেখায় পৌঁছোয়, তাই ২২শে ডিসেম্বর তারিখটিকে মকরসংক্রান্তি বা দক্ষিণ অয়ণান্ত বলে।
মকর সংক্রান্তির বৈশিষ্ট্য
( ১ ) পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ 22 শে ডিসেম্বর তারিখে সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে এবং সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে ।
( ২ ) 22 শে ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকরক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ।
( ৩ ) ছায়াবৃত্ত এই সময় উত্তর গোলার্ধের দিকে ক্রমশ সরে যায় ।
মকর সংক্রান্তির ফলাফল
( ১ ) মকর সংক্রান্তিতে অর্থাৎ 22 শে ডিসেম্বর তারিখে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয় । উত্তর গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা সৃষ্টি হয়।
( ২ ) এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .