ছায়াবৃত্ত : পৃথিবীর আলোকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকার অর্ধাংশের সীমারেখাকে ছায়াবৃত্ত বলে । পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির কারণেই ছায়াবৃত্ত বৃত্তাকার । পৃথিবী আবর্তন করছে বলে ছায়াবৃত্ত সর্বদা পরিবর্তনশীল । পৃথিবীর অক্ষ 66½° কোণে অবস্থান করে এবং 21 শে মার্চ ও 23 শে সেপ্টেম্বর সূর্য নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেওয়ার জন্য কেবল ছায়াবৃত্ত প্রতিটি অক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করে । ছায়াবৃত্তের যে অংশে ঊষা হয় তার বিপরীত অংশে হয় গোধূলি ।
ঊষা ও গোধূলি : সূর্য ওঠার ঠিক আগে এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক পরে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মির প্রভাবে আকাশে যে ম্লান আলো দেখা যায় তাকেই যথাক্রমে উষা ও গোধূলি বলে । বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশে ধূলিকণা , বায়বীয়কণা , জলীয় বাষ্প , মেঘ প্রভৃতি থেকে বিচ্ছুরিত সূর্যালোকের প্রভাবেই উষা ও গোধূলি সৃষ্টি হয় । সূর্য ওঠার আগে দিগন্ত রেখার সাথে যখন 18° কোণ উৎপন্ন হয় , তখন ঊষাকাল শুরু হয় আবার অস্ত যাওয়ার পর যতক্ষণ সূর্য দিগন্তের সাথে 18° কোণে অবস্থান করে ততক্ষণ পর্যন্ত গোধূলি স্থায়ী হয় ।
গোধূলির স্থায়িত্বকাল নির্ভর করে দিগন্তের নীচে সূর্যের নেমে যাওয়া হারের ওপর । গোধুলির স্থায়িত্বকাল নিরক্ষরেখায় সবচেয়ে কম এবং মেরুতে সবচেয়ে বেশি ।
প্রভাত ও সন্ধ্যা : ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থান যখন ছায়াবৃত্ত অতিক্রম করে সূর্যের আলো পায় সেই সময়কে বলা হয় প্রভাত বা সকাল । যখন ছায়াবৃত্তের বিপরীত অংশ আলোকিত অংশ থেকে অন্ধকারে প্রবেশ করে , তখন একে সন্ধ্যা বলে ।
মধ্যাহ্ন ও মধ্যরাত্রি : পৃথিবীর আবর্তন কালে কোনো স্থান যখন ঠিক সূর্যের সামনে আসে অথাৎ সূর্য গাগনিক মধ্যরেখায় ( celestial meridian ) অবস্থান করে তখন সেই স্থানে হয় মধ্যাহ্ন এবং এর ঠিক বিপরীতে অন্ধকার অংশে হয় মধ্যরাত্রি ।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .