ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে লোককথার ভূমিকা
[1] সমাজ-সংস্কৃতির পরিচয়ে:
বিভিন্ন দেশের নির্দিষ্ট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে লােককথাগুলি গড়ে ওঠে। তাই লােককথাগুলি হয়ে ওঠে সুনির্দিষ্ট আঞ্চলিক ঐতিহ্যের পরিচায়ক। ধর্মবিশ্বাস, সংস্কার, খাদ্যাভ্যাস, বেশভূষা, সমাজরীতি-সহ সমাজ-সংস্কৃতির সম্যক পরিচয়দানে সাহায্য করে থাকে লােককথা।
[2] অতীত ইতিহাসের ধারণাদানে:
বহু যুগ আগের কোনাে জনগােষ্ঠীর বিস্তৃত ইতিহাসের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের সহায়ক হিসেবে কাজ করে লােককথা। তাই লোককথাকে বলা হয় এক জীবন্ত ও অবিনশ্বর জীবাশ্ম।
[3] মনােরঞ্জন ও শিক্ষাদানে:
যুগের পর যুগ ধরে লােককথার কাহিনি পাঠ করে পাঠককুল আনন্দ লাভ করে আসছে। নানা ধরনের অতিমানবিক কাহিনিগুলি পাঠকের মনােরঞ্জন করে। পাশাপাশি লােককাহিনিগুলি পরােক্ষভাবে মানুষকে শিক্ষা দেয়। লােককথাগুলির সমাপ্তিতে থাকে নানা ধরনের নীতিবাক্য।
[4] নীতিশিক্ষা দানে:
লােককথার গল্পগুলি আমাদের নীতিশিক্ষা দান করে। লােককথার গল্পের বিষয়গুলি আমাদের মানবসমাজের জীবনধারণের প্রয়ােজনীয় শিক্ষা দেয়। মানব চরিত্রের গঠনের ক্ষেত্রে লােককথার গুরুত্ব অপরিসীম।
[5] আনন্দদানে;
শতকের পর শতক ধরে লােকমুখে প্রচলিত লােক গল্পগুলি পাঠ করে পাঠক অভূতপূর্ব আনন্দ লাভ করে। শহরের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষিত সমাজের কাছেও লােককথা সমানভাবে জনপ্রিয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .