Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

গুপ্তযুগের স্থাপত্য শিল্প সম্বন্ধে টীকা লেখ।

গুপ্তযুগের স্থাপত্য শিল্প

(১) পাহাড়ে খোদাই করে গৃহনির্মাণ ছিল গুপ্তযুগের স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য (২) মন্দির শিল্পের অগ্রগতি ছিল গুপ্তযুগের স্থাপত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই যুগের স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন হল তিগোয়ার বিষ্ণু মন্দির (জব্বলপুর), কুবীরের পার্বত্য মন্দির (অজয়গড় রাজ্য), দেওগড়ের (ভাঁসি) পাথরের দশাবতার মন্দির, ভিতরগাঁওয়ের (কানপুর) ইটের তৈরি মন্দির ইত্যাদি। সুতরাং মন্দিরশিল্পের অগ্রগতি ছিল গুপ্তযুগের সংস্কৃতির অপর বৈশিষ্ট্য। ভিতরগাঁও ও দেওগড়ের মন্দিরের গঠনরীতি ও আলংকারিক কাজ বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়।

এই যুগে পাহাড় কেটে বৌদ্ধ ও জৈন ভিক্ষুদের জন্য তৈরি গুহাগুলির মধ্যে ইলোরা ও অজন্তার গুহাগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই যুগের ভাস্কর্য শিল্পও ছিল যথেষ্ট উন্নত। এইসব গুহার দেওয়াল ছিল মসৃণ ও নানা ছবি দ্বারা সুশোভিত।

অধ্যাপক সরস্বতী মন্দির স্থাপত্যকে ৫টি সুনির্দিষ্ট ভাগে বিভক্ত করেছেন।

  1. সমতল ছাদযুক্ত বর্গক্ষেত্রাকার মন্দির।
  2. গভগৃহের চারিদিকে পরিক্রমার জন্য ঢাকা স্থান বিশিষ্ট মন্দির।
  3. শিখর যুক্ত বর্গক্ষেত্রাকার মন্দির।
  4. ধনুকাকৃতি ছাদ যুক্ত আয়ক্ষেত্রাকার মন্দির।
  5. বৃত্তাকার মন্দির। প্রসঙ্গত স্মরণীয় এই যুগের মন্দিরগুলি অধিকাংশই পণ্ডিত বরাহমিহিরের সূত্র মেনে নির্মাণ করা হত।

 

Leave a reply