বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশের সমূহ ক্ষতি হয় এবং মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর নানারূপ ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । যেমন—
গ্রিনহাউস এফেক্ট :
বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায় , একেই বলে গ্রিনহাউস এফেক্ট । বিজ্ঞানীদের মতে , এইভাবে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে গেলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করবে , ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে উপকূলবর্তী নীচু অঞ্চল সমূহ সমুদ্রজলে প্লাবিত হবে এবং বাংলাদেশের মতাে নিম্ন সমতলভূমি সমূহ সমুদ্রে নিমজ্জিত হবে । শুধু তাই নয় , উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে মরুভূমির আয়তন বাড়বে এবং বৃষ্টিপাতও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে । এর ফলে সারা বিশ্ব জুড়ে কৃষিকাজ , শিল্পকর্ম ইত্যাদি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।
অ্যাসিড বৃষ্টি :
বায়ুমণ্ডলে ভাসমান সালফিউরিক অ্যাসিড , নাইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থকণা যখন বেশি মাত্রায় বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে ভূপৃষ্ঠে পড়ে , তখন তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে । কলকারখানা , যানবাহন প্রভৃতি থেকে নির্গত গ্যাস ও ধোঁয়ার মাধ্যমে এইসব রাসায়নিক পদার্থকণা বায়ুমণ্ডলে জমা হয় । এর ফলে যেমন কৃষিকাজ ব্যাহত হয় , তেমনি বনভূমি , মৎস্য সম্পদ ইত্যাদির ব্যাপক ক্ষতি হয় ।
ওজোন স্তরের বিনাশ :
স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ওজোন গ্যাসের স্তর থাকায় সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছােতে পারে না । কিন্তু বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন জাতীয় এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান বেড়ে যাওয়ায় ওজোন স্তরের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে । এর ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আছে ।
মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব :
মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব খুব ক্ষতিকর । যেমন রক্তে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা কমে যায় ; মাথাধরা , গা বমি , শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দেয় ; চোখ ও গলার ক্ষতি হয় এবং ক্যানসার জাতীয় রােগ সৃষ্টি হয় ।
Answer ( 1 )
বায়ু দূষণের ফলাফল
বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশের সমূহ ক্ষতি হয় এবং মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর নানারূপ ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । যেমন—
গ্রিনহাউস এফেক্ট :
বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায় , একেই বলে গ্রিনহাউস এফেক্ট । বিজ্ঞানীদের মতে , এইভাবে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে গেলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করবে , ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে উপকূলবর্তী নীচু অঞ্চল সমূহ সমুদ্রজলে প্লাবিত হবে এবং বাংলাদেশের মতাে নিম্ন সমতলভূমি সমূহ সমুদ্রে নিমজ্জিত হবে । শুধু তাই নয় , উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে মরুভূমির আয়তন বাড়বে এবং বৃষ্টিপাতও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে । এর ফলে সারা বিশ্ব জুড়ে কৃষিকাজ , শিল্পকর্ম ইত্যাদি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।
অ্যাসিড বৃষ্টি :
বায়ুমণ্ডলে ভাসমান সালফিউরিক অ্যাসিড , নাইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থকণা যখন বেশি মাত্রায় বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে ভূপৃষ্ঠে পড়ে , তখন তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে । কলকারখানা , যানবাহন প্রভৃতি থেকে নির্গত গ্যাস ও ধোঁয়ার মাধ্যমে এইসব রাসায়নিক পদার্থকণা বায়ুমণ্ডলে জমা হয় । এর ফলে যেমন কৃষিকাজ ব্যাহত হয় , তেমনি বনভূমি , মৎস্য সম্পদ ইত্যাদির ব্যাপক ক্ষতি হয় ।
ওজোন স্তরের বিনাশ :
স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ওজোন গ্যাসের স্তর থাকায় সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছােতে পারে না । কিন্তু বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন জাতীয় এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান বেড়ে যাওয়ায় ওজোন স্তরের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে । এর ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আছে ।
মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব :
মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব খুব ক্ষতিকর । যেমন রক্তে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা কমে যায় ; মাথাধরা , গা বমি , শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দেয় ; চোখ ও গলার ক্ষতি হয় এবং ক্যানসার জাতীয় রােগ সৃষ্টি হয় ।