শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং প্রকৃত ছাত্রের ভূমিকা পালন করা অপরিহার্য । এর জন্য প্রয়োজন হল পিতা – মাতা বা অভিভাবকদের পরামর্শ এবং উৎসাহ দান । যা নিম্নশ্রেণিভুক্ত পরিবারের পিতা – মাতা সঠিকভাবে পালন করতে অক্ষম ।
নিম্নশ্রেণিভুক্ত বা পশ্চাৎপদ ব্যক্তির সন্তানদের শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি , বিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা , শিক্ষার্থীর ভূমিকা পালন , পাঠক্রমিক এবং সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ — ইত্যাদির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামাজিক পরিবেশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক পরিবেশের উপাদানগুলি এবং তাদের প্রভাব নিম্নে উল্লেখ করা হল।
1. পার্থক্যকরণ : তপশিলি জাতি , উপজাতি এবং অন্যান্য পশ্চাৎপদ ব্যক্তি অধ্যুষিত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের প্রচণ্ড অভাব দেখা যায়।
2. শিক্ষকগণের একটা বড়ো অংশ পশ্চাৎপদ শ্রেণিভুক্ত শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাকে হেয় চোখে দেখে। শিক্ষক এবং প্রশাসকগণের এই ধরনের মনোভাব ক্রমশ পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রদের এমনকি তাদের সহপাঠীগণের মধ্যেও সঞ্চালিত হয়। SC , ST এবং OBC ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকদের এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের ( নিম্নশ্রেণিভুক্ত ছাত্র ) আত্মবিশ্বাসের উপরে আঘাত হানে। যার ফলে এই শ্রেণিভুক্ত শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি সামাজিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার অন্তরায় হয়।
SC , ST এবং OBC- দের প্রতি উচ্চশ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি উচ্চশ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিগণ সর্বদাই SC , ST এবং OBC- দের নিম্নদৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে তারা মনে করে নিম্নশ্রেণিভুক্ত ছাত্রদের মধ্যে কৌতূহল, ধারণা ঠনের ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা ইত্যাদি কম।
প্রকৃত ঘটনা হল বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মধ্যে শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে অসমতা দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হল সামাজিক অসমতা। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে তপশিলি জাতি , উপজাতি এবং অন্যান্য পশ্চাৎপদ জনগণ উচ্চ ও মধ্য শ্রেণিভুক্ত জনগণের থেকে অনেক নীচে অবস্থান করে। এই অবস্থানের তারতম্য শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলে। সংক্ষেপে বলা যায় যে , সামাজিক অসমতার কারণে শিক্ষার ক্ষেত্রেও নিম্নশ্রেণিভুক্ত জনগণ পিছিয়ে আছে।
Answer ( 1 )
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং প্রকৃত ছাত্রের ভূমিকা পালন করা অপরিহার্য । এর জন্য প্রয়োজন হল পিতা – মাতা বা অভিভাবকদের পরামর্শ এবং উৎসাহ দান । যা নিম্নশ্রেণিভুক্ত পরিবারের পিতা – মাতা সঠিকভাবে পালন করতে অক্ষম ।
নিম্নশ্রেণিভুক্ত বা পশ্চাৎপদ ব্যক্তির সন্তানদের শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি , বিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা , শিক্ষার্থীর ভূমিকা পালন , পাঠক্রমিক এবং সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ — ইত্যাদির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামাজিক পরিবেশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক পরিবেশের উপাদানগুলি এবং তাদের প্রভাব নিম্নে উল্লেখ করা হল।
1. পার্থক্যকরণ : তপশিলি জাতি , উপজাতি এবং অন্যান্য পশ্চাৎপদ ব্যক্তি অধ্যুষিত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের প্রচণ্ড অভাব দেখা যায়।
2. শিক্ষকগণের একটা বড়ো অংশ পশ্চাৎপদ শ্রেণিভুক্ত শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাকে হেয় চোখে দেখে। শিক্ষক এবং প্রশাসকগণের এই ধরনের মনোভাব ক্রমশ পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রদের এমনকি তাদের সহপাঠীগণের মধ্যেও সঞ্চালিত হয়। SC , ST এবং OBC ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকদের এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের ( নিম্নশ্রেণিভুক্ত ছাত্র ) আত্মবিশ্বাসের উপরে আঘাত হানে। যার ফলে এই শ্রেণিভুক্ত শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি সামাজিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার অন্তরায় হয়।
SC , ST এবং OBC- দের প্রতি উচ্চশ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি উচ্চশ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিগণ সর্বদাই SC , ST এবং OBC- দের নিম্নদৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে তারা মনে করে নিম্নশ্রেণিভুক্ত ছাত্রদের মধ্যে কৌতূহল, ধারণা ঠনের ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা ইত্যাদি কম।
প্রকৃত ঘটনা হল বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মধ্যে শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে অসমতা দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হল সামাজিক অসমতা। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে তপশিলি জাতি , উপজাতি এবং অন্যান্য পশ্চাৎপদ জনগণ উচ্চ ও মধ্য শ্রেণিভুক্ত জনগণের থেকে অনেক নীচে অবস্থান করে। এই অবস্থানের তারতম্য শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলে। সংক্ষেপে বলা যায় যে , সামাজিক অসমতার কারণে শিক্ষার ক্ষেত্রেও নিম্নশ্রেণিভুক্ত জনগণ পিছিয়ে আছে।