পল্লব শিল্পের বৈশিষ্ট্য
পল্লব রাজাদের আমলে স্থাপত্য ও ভাস্কর্যশিল্পে সূক্ষ্ম কারুকার্যময় মন্দির-স্থাপত্যই পল্লব শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পল্লব শিল্পের আর একটি বৈশিষ্ট্য হল পাহাড় কেটে মন্দির নির্মাণের রীতি। পল্লব শিল্পরীতিতে চারটি স্বতন্ত্র শিল্পশৈলীর সমাবেশ ঘটেছিল, যেমন: সহস্র রীতি, মামল্ল রীতি, রাজসিংহ রীতি এবং অপরাজিত রীতি।
বৈশিষ্ট্য :
(১) পাহাড় কেটে গৃহামন্দির নির্মাণ ছিল মহেন্দ্র শিল্পরীতির মূল বৈশিষ্ট্য (উদাহরণ : একাম্বরনাথের মন্দির)।
(২) গোটা’ একটি পাথর কেটে রথের আকারে মন্দির নির্মাণ ছিল মামল্ল শিল্পরীতির মূল বৈশিষ্ট্য (উদাহরণ : মহাবলী পুরমের রথ মন্দির) পল্লব শিল্পরীতিতে চারটি স্বতন্ত্র শিল্পশৈলীর সমাবেশ ঘটে, যেমন-মহেন্দ্র রীতি, মামল্ল রীতি, রাজসিংহ রীতি এবং অপরাজিত রীতি।
পল্লবরাজ প্রথম মহেন্দ্রবর্মন (৬০০-৬২৫ খ্রিঃ) পাহাড় কেটে মন্দিরের রূপদানের কৌশল প্রথম আবিস্কার করেন। পাহাড় কেটে সুন্দরভাবে বাঁকানো পিলার, চক্রাকার লিঙ্গম ও অসাধারণ কারুকার্যময় গোপুরম বা তোরণ তাঁর সময় নির্মিত হয়। পল্লভরম, দলভানুর ও ভাল্লমে মহেন্দ্র শিল্পরীতির নিদর্শনগুলি তৈরি হয়েছিল। প্রথম নরসিংহবর্মনের (৬২৫-৬৪৫ খ্রিঃ) শিল্পরীতির নাম ‘মহামল্ল রীতি’। রাজধানী মহাবলীপুরম, পাদুকোটাই ও ত্রিচিনোপল্লিতে মহামল্ল শিল্পরীতির বহু নিদর্শন তৈরী হয়েছিল।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .