বৈদিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য
লিখিত উপাদানযুক্ত সভ্যতা
বৈদিক সভ্যতার সব থেকে নির্ভরযোগ্য উপাদান হল বৈদিক সাহিত্য সমূহ। ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে এগুলি বৈদিক সভ্যতাকে প্রকাশ করতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
গ্রামীন সভ্যতা
বৈদিক সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে গ্রামীণ সভ্যতা, এখানকার একান্নবর্তী পরিবারগুলির মূল ছিল কৃষি। কাঁচাবাড়ির যুক্ত সভ্যতা : আর্যসভ্যতার অধিবাসীদের বাসস্থান ছিল বাঁশ, কাঠ ও মাটি দিয়ে তৈরি কুটির।
লৌহযুগীয় সভ্যতা
বৈদিক সভ্যতায় লোহার ব্যবহার জানা ছিল। লোহার লাঙল, হাতিয়ার এমনকি অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণে লোহার প্রয়োগ এই যুগেই প্রথম শুরু হয়েছিল। এই সভ্যতা তাই লৌহযুগীয় সভ্যতা।
উর্বর অঞ্চলে বিস্তৃত সভ্যতা
লোহার ব্যবহার জানা থাকায় মৌসুমী বায়ু লালিত ঘন অরণ্য অঞ্চলে বৃক্ষ উচ্ছেদের মাধ্যমে বৈদিক সভ্যতার বিস্তার সম্ভব হয়েছিল।
বৈদেশিক সভ্যতা
আর্যরা যেহেতু বহিরাগত তাই এ সভ্যতা সর্বতোভাবে একটি বৈদেশিক সভ্যতা এবং এ বিষয়ে দ্বি-মতের অবকাশ নেই।
বর্ণবৈষম্যযুক্ত সভ্যতা
বৈদিক সভ্যতার সমাজ ছিল চতুঃবর্ণে বিভক্ত। শ্রেণিচেতনা কতটা সক্রিয় ছিল বলা মুশকিল; তবে বর্ণবিভাজনে শূদ্রদের সামাজিক অবস্থান মোটেই সুখকর ছিল না।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .