অবস্থান
মুম্বই শহরের নিকটবর্তী এলিফ্যান্টা দ্বীপের উল্টোদিকে আরব সাগরের উপকূল বরাবর অবস্থিত ভারতের প্রথম কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ও নবতম’প্রধান বন্দর ‘নভসেবা’ ১৯৮৯ সালের ২৬শে মে তারিখে চালু হয়েছে। পরে নভসেবা বন্দরটির নাম রাখা হয়েছে জওহরলাল নেহরু বন্দর। ভারতের প্রথম ‘হাইটেক’ (উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন) বন্দর নভসেবা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৮৭৮ কোটি টাকা। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এই বন্দরটিতে তিনটি কন্টেনার নামার বার্থ, দুটি মাল খালাসের বার্থ এবং একটি সার্ভিস বার্থ রয়েছে। অত্যাধুনিক কম্পিউটার ব্যবস্থার দরুণ নভসেবা বন্দরটিতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম সংখ্যক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এই বন্দরের পোতাশ্রয়টি স্বাভাবিক ও গভীর।
বন্দর সৃষ্টির কারণ
(১) বন্দরের উপযুক্ত ভগ্ন উপকূল, (২) স্বাভাবিক ও গভীর পোতাশ্রয়, (৩) বন্দরে নিজস্ব মাল পরিবহনের উপযুক্ত রেলপথ, (৪)সমভাবাপন্ন আবহাওয়া, (৫) শিল্প-সমৃদ্ধ পশ্চাদভূমি, (৬) সরকারী আনুকূল্য, (৭) শ্রমিকের সুলভ সরবরাহ (জনবহুল মুম্বই শহরের নিকটবর্তী বলে এখানে শ্রমিকের প্রাচুর্য রয়েছে), (৮) অনুকূল ভৌগোলিক অবস্থান (এই বন্দর থেকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলো অপেক্ষাকৃত অনেক কম দূরত্বে অবস্থান করছে।), (৯) যান্ত্রিক পরিবহনের সুবিধা : এই বন্দরটিতে বড় বড় জাহাজ সহজে মেরামতির কাজ সেরে নিতে পারে। তাছাড়া পশ্চিম ও মধ্য রেলপথের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমির সঙ্গে এই বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব উন্নত। বন্দরটি সড়কপথেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সুসংযুক্ত বলে মালপত্র আদানপ্রদানের খুবই সুবিধা হয়; (১০) মুম্বই বন্দরের বিকল্প : প্রধানত মুম্বই বন্দরের কাজের চাপ কমাবার জন্য মুম্বই বন্দরের অদূরে এই বন্দরটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্বভাবতই এই নতুন বন্দরটি মুম্বই বন্দরের মতোই অনুকূল ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।
পশ্চাদভূমি
মুম্বই বন্দরের মত জওহরলাল বন্দরটির পশ্চাদভূমিও মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান ও দিল্লির প্রায় সমগ্র অংশ এবং উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য
এই বন্দর দিয়ে প্রধানত ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি, বস্ত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী রপ্তানি করা হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .