সূচনা
একসময় প্রেসিডেন্ট হিডেনবার্গ হিটলার সম্পর্কে ট্রেসারকে বিদ্রূপ করে বলেছিলেন, “I have my word of honour that a Bohemien Corporal will never be Chanceller……….. make him postmaster, and he can lick my face hundred times a day.” কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই হিটলারই জার্মানির চ্যান্সেলার পদ অলংকৃত করেন, যদিও তাঁকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের চড়াই উৎরাই পার হতে হয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গ্লানি
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরাজয় ও লাঞ্ছনার গ্লানি জার্মানিকে এক জটিল পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করায়। হিটলার রাজনীতির মঞ্চে এসে প্রতিজ্ঞা করেন যে অপমানজনক ভার্সাই সন্ধিপত্র ছিঁড়ে ফেলে দিতে হবে। গৌরবান্বিত জার্মান জাতি তাই হিটলারের পথেই হাঁটতে
অর্থনৈতিক মন্দা
ভাইমার প্রজাতন্ত্রের দুর্বলতা ও ব্যর্থতার পিছনে হিটলারের হাত কাজ করেছিল। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক ও সামাজিক জটিল পরিস্থিতির ঘূর্ণাবর্তই জার্মানিতে হিটলারকে ক্ষমতার মঞ্চে অধিষ্ঠিত করে।
হিটলারের বিচক্ষণতা
হিটলারের নিজ চরিত্রই তাঁকে জার্মানিতে ক্ষমতার শীর্ষে নিয়ে আসে। প্রথমে একজন বালক, পরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যাভেরিয়ার সৈনিক, তারপর কর্পোরাল পদ—জীবনের এই সিঁড়ি বেয়ে হিটলার হলেন রাষ্ট্রনায়ক।
নাতসি দলের ক্ষমতাবৃদ্ধি
হিটলার জার্মানির মাটিতে নাতসি দলকে সুগঠিত করার উদ্দেশ্যে ঝটিকা বাহিনী গঠন করেন। কারাগারে বসে হিটলার তাঁর আত্মজীবনী মেঁই ক্যাম্প লেখেন, এই গ্রন্থটি নাতসি বাইবেল নামে পরিচিত। হিটলার তাঁর বইয়ে নাতসি দলকে জনমানসে জনপ্রিয় করে তোলেন।
উপসংহার
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, হিটলার জার্মানিতে দ্রুত গণতন্ত্রের মুখোশ ছিঁড়ে বিরোধী দলগুলিকে কোঠাসা করেন, যদিও এর পিছনে এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর হাত কাজ করেছিল। হিটলার বিশ্বাস করতেন যে, পশুশক্তির নগ্ন রূপ যতটা বিতৃত্মা সৃষ্টি করে, তার চেয়েও বেশি আকর্ষণ করে। এই মন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে জার্মানিতে হিটলার বিশ্বত্রাসে রূপান্তরিত হন।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .