ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণনীতির উদ্দেশ্য
সুদেতান-জার্মানদের আন্দোলন ও হিটলারের দাবি পশ্চিমি গণতন্ত্রপ্রেমীদের কাছে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, সেই জন্য ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর চেম্বারলেন বার্লিনে হিটলারের সঙ্গে দেখা করলে হিটলার তাঁকে জানান যে সুদেতান অঞ্চলে জার্মানদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার না দিলে যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব নয়। তাই বার্লিন থেকে ফিরে এসে চেম্বারলেন ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এর উদ্দেশ্য হল যুদ্ধ পরিহার করার জন্য সুদেতান জার্মানকে ছেড়ে দেওয়া।
চেম্বারলেনের উদ্দেশ্য ছিল যত দিন সম্ভব যুদ্ধকে এড়িয়ে ব্রিটেনের নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করা। তিনি শান্তি ও সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। আদর্শগত বৈষম্যের কারণে তারা রাশিয়ার সঙ্গে মৈত্রী বন্ধনে মোটেই রাজি ছিল না। রাশিয়া সম্পর্কে ভীতিই তোষণ নীতির একটি কারণ। অন্যদিকে চেম্বারলেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ সে সময় পরিস্থিতি মিত্র পক্ষের প্রতিকূল ছিল। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণ নীতির মূল উদ্দেশ্য এটাই।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .