পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়
প্রশ্ন ১। পৃথিবীর দুটি মেরু বিন্দুর নাম কী? এদের অক্ষাংশের মান কত?
উত্তর : পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণে দুই মেরু বিন্দুর নাম যথাক্রমে সুমেরু ও কুমেরু।
→ উত্তর মেরু বা সুমেরুর অক্ষাংশ ৯০° উঃ এবং দক্ষিণ মেরু বা কুমেরুর অক্ষাংশ ৯০° দঃ।
প্রশ্ন ২। অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা কাকে বলে?
উত্তর : নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণ দিকে অবস্থিত কোনো স্থান এবং নিরক্ষীয়তলের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমাবা দেশান্তর বলে। অর্থাৎ মূল মধ্যরেখা থেকে কল্পিত ব্যাসার্ধ এবং ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থান থেকে কল্পিত ব্যাসার্ধ পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে ঐ স্থানের দ্রাঘিমা বলে।
প্রশ্ন ৩। কোন্ সমাক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে?
উত্তর : নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে।
প্রশ্ন ৪। নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ কত?
উত্তর : নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ হল 0°, এইজন্য নিরক্ষরেখাকে শূণ্য অক্ষরেখা বলে।
প্রশ্ন ৫। ক্রনোমিটার কী?
উত্তর : ক্রনোমিটার কথার অর্থ হল ‘সময় যন্ত্র’। ব্রুনোমিটার হল এক ধরনের ঘড়ি, যা গ্রিনিচের সময় অনুসারে চলে। তবে ব্রুনোমিটারের ফল মানেই গ্রিনিচের সময় নয়। এটি যে কোনো দ্রাঘিমা রেখার স্থানীয় সময় অনুসারে ঠিক করা যেতে পারে।
প্রশ্ন ৬। সেক্সট্যান্ট কী?
উত্তর : সেক্সট্যান্ট হল এক ধরনের যন্ত্র, যার সাহায্যে সূর্যের সর্ব্বোচ্চ অবস্থান দেখে কোনো স্থানের মধ্যাহ্ন বা বেলা ১২ টা স্থির করা যায়। এছাড়া এই যন্ত্রের সাহায্যে কোনো স্থানের অক্ষাংশও স্থির করা যায়।
প্রশ্ন ৭। উত্তর গোলার্ধের কোন স্থানে ধ্রুবতারার উন্নতি ৯০°?
উত্তর : ৯০° উত্তর অক্ষাংশ বা উত্তর গোলার্ধের সুমেরু বিন্দুতে ধ্রুবতারার উন্নতি ৯০° ।
প্রশ্ন ৮। কর্কটক্রান্তি রেখা ও সুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ কত?
উত্তর : কর্কটক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ হল 23\tfrac{1}{2}^{\circ} উত্তর এবং সুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ হল 66\tfrac{1}{2}^{\circ} উত্তর।
প্রশ্ন ৯। মকরক্রান্তি রেখা ও কুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ কত?
উত্তর : মকরক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ হল 23\tfrac{1}{2}^{\circ} দক্ষিণ এবং কুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ হল 66\tfrac{1}{2}^{\circ} দক্ষিণ।
প্রশ্ন ১০ : কোনও স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
উত্তর : ১২ ঘণ্টা।
প্রশ্ন ১১। কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ কত?
উত্তর : কলকাতার অক্ষাংশ 22\tfrac{1}{2}^{\circ} উঃ, সুতরাং এর প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ 22\tfrac{1}{2}^{\circ} দঃ হবে।
কলকাতার দ্রাঘিমা ৮৮°৩০′ পূঃ, সুতরাং তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হবে 180°- 88°30′ পূঃ = 91°40′ পঃ।
প্রশ্ন ১২। সুমেরু বৃত্ত ও কুমেরু বৃত্ত কাকে বলে?
উত্তর : উত্তর গোলার্ধের 66\tfrac{1}{2}^{\circ} উঃ সমাক্ষরেখাকে সুমেরু বৃত্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধের 66\tfrac{1}{2}^{\circ} দঃ অক্ষরেখাকে কুমেরু বৃত্ত বলে।
প্রশ্ন ১৩। কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখা কাকে বলে?
উত্তর : উত্তর গোলার্ধের 23\tfrac{1}{2}^{\circ} উত্তর অক্ষরেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের 23\tfrac{1}{2}^{\circ} দক্ষিণ অক্ষরেখাকে মকরক্রান্তি রেখা বলে।
প্রশ্ন ১৪। প্রত্যেক ১৫° দ্রাঘিমার ব্যবধানে সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উত্তর : ১° দ্রাঘিমার ব্যবধানে সময়ের পার্থক্য হয় = ৪’ মিনিট
১৫° দ্রাঘিমার ব্যবধানে সময়ের পার্থক্য হয় = (১৫ × ৪’) মিনিট = ১ ঘণ্টা
প্রশ্ন ১৫। a.m. ওp.m. কাকে বলে?
উত্তর : কোনো স্থানের মধ্যরাত্রির পর থেকে পরবর্তী মধ্যাহ্ন পর্যন্ত সময়কে a.m. এবং মধ্যাহ্নের পর থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত সময়কে p.m. বলে।
প্রশ্ন ১৬। উচ্চ এবং নিম্ন অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তর : ০° থেকে ৩০° পর্যন্ত নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত স্থানসমূহের অক্ষাংশকে নিম্ন অক্ষাংশ; ৬০° থেকে ৯০° পর্যন্ত মেরু প্রদেশের নিকটবর্তী স্থানসমূহের অক্ষাংশকে উচ্চ অক্ষাংশ বলে।
প্রশ্ন ১৭। কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের সময়ের পার্থক্য কত এবং কেন?
উত্তর : কোনো স্থান এবং তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য হয় ১৮০°। সুতরাং কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের সময়ের পার্থক্য হবে ১৮০° × ৪ মিনিট = ৭২০ মিনিট বা ১২ ঘণ্টা।
প্রশ্ন ১৮। ভারতের কোন স্থানের ওপর দিয়ে প্রসারিত ও কোন্ দ্রাঘিমা অনুসারে ভারতের প্রমাণ সময় নির্ধারিত হয়?
উত্তর : এলাহাবাদ বা কোকনদের ওপর দিয়ে প্রসারিত 88\tfrac{1}{2}^{\circ} পূর্ব দ্রাঘিমার সময় অনুসারে ভারতের প্রমাণ সময় নির্ধারিত হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .