পৃথিবীর পরিধির কৌণিক মাপ হল ৩৬০°। মূলমধ্যরেখা বা ০° দ্রাঘিমারেখার বিপরীতে রয়েছে ১৮০° পূর্ব বা ১৮০° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা। মোটামুটিভাবে এই রেখাকে অনুসরণ করেই আন্তর্জাতিক তারিখরেখাটি কল্পনা করা হয়েছে। এইরেখার দু’পাশে সময়ের পার্থক্য ২৪ ঘন্টা বা একদিন। আন্তর্জাতিক তারিখরেখা থেকেই দিন ও তারিখের পরিবর্তন হয়।
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে। তাই পশ্চিম থেকে পূর্বে এই রেখা অতিক্রম করলে ২৪ ঘন্টা বা একদিন সময় এগিয়ে যায়। সেই কারণে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে তারিখ বিভাজন রেখাও বলা হয়।
আন্তর্জাতিক তারিখরেখাটি প্রধানত জলভাগের ওপর দিয়ে প্রসারিত হলেও সামান্য কয়েকটি স্থানে স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে। সেইসব স্থলভাগে পাশাপাশি দুটি স্থানের সময় ও তারিখ নিয়ে তাই খুবই বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক তারিখরেখাটিকে স্থলভাগ এড়িয়ে জলভাগের ওপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে। এই রেখাটি তাই স্থানে-স্থানে বাঁকা।
উত্তরদিকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখাকে সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে কিছুটা পূর্বে এবং
অ্যালুশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে ৭° পশ্চিমে বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরপর দক্ষিণদিকে এই রেখাটিকে চ্যাথাম, ফিজি প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের কাছে ১১° পূর্বে বাঁকিয়ে স্থলভাগকে এড়িয়ে সম্পূর্ণভাবে জলভাগের ওপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে। কাজেই বলা যায়, আন্তর্জাতিক তারিখরেখা সর্বত্র ১৮০° দ্রাঘিমারেখাকে অনুসরণ করেনি।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .