গোলাকার ও বিশাল পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা বেশ কঠিন। ভূ-পৃষ্ঠের ওপর কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার জন্য গাণিতিক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।
ভূ-পৃষ্ঠের ওপর নিরক্ষরেখার সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থিত পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাগুলোই হল অক্ষরেখা। আবার নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে অবস্থিত উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত অর্ধবৃত্তাকার কাল্পনিক রেখাগুলোই হল দ্রাঘিমা রেখা।
ভূ-পৃষ্ঠের ওপর কোনো জায়গার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে হলে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্য নেওয়া হয়। অক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর-দক্ষিণের এবং দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে পূর্ব-পশ্চিমের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা প্রতিটি অক্ষরেখাকে লম্বভাবে ছেদ করে এবং এই ছেদ বিন্দুর সাহায্যে পৃথিবীর যে-কোনো স্থানের অবস্থান নির্দেশ করা যায়। নির্দিষ্ট অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুই হল ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান।
উদাহরণ
কলকাতা ২২°৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৮৮°৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার সংযোগস্থলে বা ছেদবিন্দুতে অবস্থিত (১ নং ছবির K বিন্দু), তাই কলকাতার সঠিক অবস্থান হল ২২°৩৪′ উত্তর এবং ৮৮°৩০′ পূর্ব।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .