স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা
স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনে বাংলার ছাত্র সমাজ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদের প্রচেষ্টায় বয়কট আন্দোলন শক্তিশালী সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়। তারা বিদেশি কাগজ-কলম বর্জন করে। বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জন করে। বাংলার গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। বিদেশি লবণ, চিনি, কাপড়, মদ ও বিদেশি পণ্যের দোকানের সামনে তারা পিকেটিং শুরু করে। বিদেশি দ্রব্য পুড়িয়ে ফেলে। দেশের বিভিন্ন অংশে ছাত্ররা এই অন্দোলনকে জনপ্রিয় করে তোলে। তারা সভাসমিতির মাধ্যমে জনগণকে বয়কট আন্দোলনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে বোঝাতে থাকেন।
এই আন্দোলন সর্ব স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করে। বাংলার বিশিষ্ট জননায়ক সুরেন্দ্রনাথ ছাত্র সমাজকে আন্দোলনের ‘স্বনিযুক্ত প্রচারক’ বলেছেন। ব্রিটিশ সরকার ছাত্রদের এই আন্দোলন অবদমিত করার জন্য কঠোর নীতির আশ্রয় নেয় এবং কুখ্যাত কার্লাইল সার্কুলার জারি করে।
Frequently Asked Questions
স্বদেশ বান্ধব সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা কে?
অশ্বিনী কুমার দত্ত হলেন ‘স্বদেশ বান্ধব সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা।
কেশরি পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক ‘কেশরি’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কৃষ্ণকুমার মিত্র।
অনুশীলন সমিতি’-র প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
‘অনুশীলন সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সতীশ চন্দ্র বসু।
সভা বৈঙ্গলি পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
‘বেঙ্গলি’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .