Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

ব্রিটিশ ভারতে নারী শিক্ষার প্রসার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

ব্রিটিশ ভারতে নারী শিক্ষার প্রসার

সূচনা

ইংরেজরা বাণিজ্যিক স্বার্থের প্রয়োজনে এলেও তাদের সান্নিধ্যে। এক নব ভারতের জন্ম হয়। তারা প্রাচীন ঘুণধরা ভারতীয় সভ্যতাকে সজোরে আঘাত করে পাশ্চাত্য শিক্ষার আঙ্গিকে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে গড়ে তোলে, যেখানে নারী শিক্ষাও উন্মোচিত হয়।

প্রাচীনপন্থী শিক্ষা

ভারতে প্রাচীন পন্থী সমাজব্যবস্থা নারীদের সমানাধিকারে বিশ্বাসী ছিল না। ব্রিটিশ শাসনের সূচনাপর্বে কোম্পানিও শিক্ষাবিস্তারে আগ্রহী ছিল না। স্বভাবতই সরকারি ঔদাসীন্যে ভারতের নারীজাতি ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকে।

খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগ

উনিশ শতকের গোড়ায় খ্রিস্টান মিশনারিরা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। তারা কিছু বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিল। কিন্তু সামাজিক অনুশাসনের বাধা পেরিয়ে ছাত্রীরা শিক্ষার আলোয় আসতে পারেনি। কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি, ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান স্ত্রী শিক্ষার প্রসারে সাহায্য করে। কিন্তু সেকেলে ভারতীয় প্রাচীনপন্থী সমাজব্যবস্থা এই প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে।

ব্যক্তিগত উদ্যোগ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ড্রিঙ্ক ওয়াটার বেথুন, রামগোপাল বসু, মদন মোহন তর্কালঙ্কার, শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রমুখর উদ্যোগে স্ত্রীশিক্ষার কর্মসূচি রূপায়িত হতে থাকে। কিন্তু ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে উডের নির্দেশনামায় স্ত্রীশিক্ষার কথা অস্পষ্ট থেকে যায়। কেশবচন্দ্র সেনের ব্রাহ্ম সমাজ স্ত্রীশিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী হয়। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রমুখী বসু এবং কাদম্বিনী গাঙ্গুলী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক উপাধি অর্জন করে নারী সমাজকে উচ্চশিক্ষায় প্রণোদিত করে।

সরকারি উদ্যোগ

হান্টার কমিশনে স্ত্রীশিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। ১৯০১- ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে সারা দেশে ১২টি মহিলা কলেজ স্থাপিত হয়। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে মহিলাদের জন্য একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়।

উপসংহার

এতসব উদ্যোগ সত্ত্বেও স্ত্রীশিক্ষার অগ্রগতির হার ছিল হতাশাব্যঞ্জক। কিন্তু স্ত্রীজাতি যে তৎকালীন সামাজিক অনুশাসনের নানা বাধা পেরিয়ে শিক্ষার আলোতে আসতে পেরেছিল, সে যুগের মাপকাঠিতে তা নেহাত কম নয়।

Frequently Asked Questions

১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকানের চেষ্টায় বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ইংরেজি ভাষাকে পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেন।

Leave a reply