পৃথিবীর আবর্তন গতির স্বপক্ষে যুক্তি
পৃথিবী যে নিজের মেরুদণ্ডের ওপর আবর্তন করছে, তার প্রমাণগুলি হল :
(১) পৃথিবী থেকে যেসব উপগ্রহ ও মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে (যেমন : ভয়েজার), সেগুলোর পাঠানো ছবি থেকে দেখা যায় যে, পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করছে। এই ছবিগুলোই পৃথিবীর আবর্তন বা আহ্নিক গতির সর্বাধুনিক ও নির্ভুল প্রমাণ।
(২) বাতাস যখন স্থির থাকে তখন উঁচু স্তম্ভ থেকে কোনো ভারী বস্তু (যেমন : পাথর) ফেললে দেখা যায় যে, পাথরটি ঠিক সোজা না এসে একটু পূর্ব দিক ঘেঁসে মাটিতে পড়ে। এই পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয় যে : পৃথিবী পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করছে।
(৩) কোনো গোলকাকৃতি নমনীয় বস্তু যদি নিজের মেরুদণ্ডের ওপর লাটুর মতো অনবরত ঘুরতে থাকে (আবর্তন করে) তবে তার মধ্যে একই সঙ্গে পরস্পর বিরোধী কেন্দ্রমুখী এবং কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির উদ্ভব হয়, যার প্রভাবে ওই গোলকাকৃতি বস্তু নিজের যে মেরুরেখার চারদিকে আবর্তন করে তার প্রান্তদেশ কিছুটা চাপা হয় এবং মধ্যভাগ কিছুটা স্ফীত হয়।
পৃথিবীর প্রায় গোলাকার বা অভিগত গোলাকৃতি (উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সামান্য চাপা এবং মধ্যভাগ একটু স্ফীত) হল পৃথিবীর আহ্নিক গতির অন্যতম প্রমাণ। আবর্তন গতির প্রভাবেই জন্মকালে নমনীয় পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু একটু চাপা এবং মধ্যভাগ সামান্য স্ফীত হয়ে যায়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .