ক্ষয়জাত পর্বত
পৃথিবীর উপরিভাগ বৃষ্টি, নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতির কাজের ফলে সবসময় ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। এইভাবে অনেক সময় শক্ত শিলায় গড়া জায়গা কম ক্ষয় পেয়ে আশেপাশের বেশি ক্ষয়ে যাওয়া নরম শিলায়। গঠিত জায়গা থেকে আলাদা হয়ে উঁচুতে যায়, একে ক্ষয়জাত পর্বত বলে। কম ক্ষয় হওয়া অবশিষ্ট অংশ পর্বতে পরিণত হয় বলে একে অবশিষ্ট পর্বতও বলে।
সঞ্চয়জাত পর্বত বা আগ্নেয় পর্বত
পৃথিবীর ভেতরকার উত্তপ্ত গলিত লাভা বা ম্যাগমা ভৃত্তরের ফাটল দিয়ে বাইরে এসে ঠাণ্ডা হয়ে যে পর্বতের সৃষ্টি হয় তাকে সঞ্চয়জাত বা আগ্নেয় পর্বত বলে। ইটালির ভিসুভিয়াস পৃথিবীর একটি উল্লেখযোগ্য আগ্নেয় পর্বত।
আগ্নেয় পর্বতের শিখরে জ্বালামুখ নামে এক বা একাধিক গহ্বর থাকে, যা এক একটি নলের মতো পথের মাধ্যমে ভূগর্ভের তরল উপাদান বা ম্যাগমা গহ্বরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। লাভা নির্গমনের সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয় পর্বতের উচ্চতা ক্রমশ বেড়ে যেতে থাকে এবং শঙ্কুর মতো আকৃতি নেয়। তবে পরবর্তী অগ্ন্যুৎপাতের সময় প্রবল বিস্ফোরণে আগ্নেয় পর্বত অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। আগ্নেয় পর্বতগুলো মাঝারি উচ্চতা বিশিষ্ট হয় এবং এদের ঢাল মাঝামাঝি রকমের। জাপানের ফুজিয়ামা, ভিসুভিয়াস প্রভৃতি সঞ্চয়জাত পর্বতের উদাহরণ।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .